ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে ময়মনসিংহের ভালুকায় চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে আহত নারী শ্রমিক মোছা.শামছুন্নাহার (৩৮) মারা গেছেন। রোববার সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এঘটনায় অভিযুুক্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মাওনা রিদিশা গার্মেন্টস থেকে কাজ শেষে প্রতিদিনের ন্যায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার বাসযোগে ভালুকা ফিরছিলেন দুই সন্তানের জননী ৩৮ বছর বয়সী শামছুন্নাহার। ভালুকার সীডস্টোর এলাকায় বাসের সকল যাত্রী নেমে গেলে ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মায়ের মসজিদ এলাকায় তার সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করা হয়।
এসময় ওই নারী বাসের চালকসহ তিনজনের কাছ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন। পরে স্থানীয়রা তাকে প্রথমে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক কামাল হোসেন বলেন, শামছুন্নাহারের মাথার আঘাত খুব গুরুতর ছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের ছেলে মো.সজিব বলেন, আমরা দুই ভাইকে পড়াশোনা করানোর জন্য ৮ থেকে ১০ বছর ধরে মা গার্মেন্টসে কাজ করছিল। যারা আমার মায়ের সম্ভ্রমহানির চেষ্টা করে মৃত্যু ঘটিয়েছে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক।
কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ধর্ষকদের হাত থেকে বাঁচতে লাফিয়ে আহত নারী শ্রমিক শামছুন্নাহার মারা গেছেন। রোববার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে বাস সহ বাসের চালক রাকিব হোসেন, সহকারি আরিফ হোসেন এবং আনন্দ দাশকে আটক করা হয়।
আটককৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হলে গত শনিবার বিকালে সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। আজকে রিমান্ড শুনানি হতে পারে।