ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে ওই অঞ্চলে।
ইতোমধ্যেই বিপদসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারসহ সব নদ-নদীর পানি। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে সহস্রাধিক পরিবার।
কুড়িগ্রামে ধরলা, তিস্তা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে নদ-নদী আববাহিকার আট শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ব্রহ্মপুত্র ও দুধকুমার অববাহিকার অনেক পরিবারের বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। তবে এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পায়নি জেলা প্রশাসনের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা শাখা।
তবে লালমনিরহাটে ও নীলফামারীতে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তিস্তা নদীর পানি ব্যারেজ পয়েন্টে কমলেও নিম্নাঞ্চলের অনেক বাড়িঘরে এখনো পানি রয়েছে। ফলে লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জে অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার নদনদী ও হাওরে পানি কয়েকদিন ধরেই বাড়ছে। সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। সিলেটে ভারী বৃষ্টি ও নদ-নদীতে পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে জেলার নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ‘আগামী আরও দুই-তিন দিন পানি বাড়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হবে। তবে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বন্যার পূর্বাভাস নেই।’