২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২৬
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৯:২৬

গাছে অযথা কীটনাশক প্রয়োগের আগে একবার ভাবুনঃ

সবুজ প্রজাপতির লার্ভা বা মথ। আরেকটা আছে কালো বর্ণের। এর নাম লাইম বাটারফ্লাই লার্ভা। তবে এদের প্রসিদ্ধ নাম ক্যাটারপিলার নামেই জানে সবাই। এদের প্রিয় গাছ লেবু, কমলা, মাল্টা, জাম্বুরা, শরবতের বেল ইত্যাদি।  গাছের কচি পাতা ক্যাটারপিলারের প্রিয় খাবার।গাছের পাতায় পাতায় জন্ম।কচি পাতা খেয়ে খেয়েই ওরা বড় হয়।পাতার হালহকিকত ওরা খেয়ে এমন ঝাজড়া করে ফেলে।পাতাগুলো দেখলে মনে হবে, কোন শিল্পী যেন পাতায় নকশা করেছে!

আজকের প্রতিবেদনে একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, প্রজাপতির লার্ভা শুধু গাছের পাতাই খায়। বড় হলে উড়ে চলে যাবে। আমরা সে কারণে ওদের চিনে রাখি। আমি হাতেও নিয়ে দেখালাম। ওদের গাছে বা পাতায় দেখলে প্রতিষোধক কীটনাশক স্প্রে করে মারবেন না দয়া করে। কেননা, একটি লার্ভা মারলেন মানেই আপনি একটি সুন্দর প্রজাপতির হত্যাকারী ? নিরিবিলিতে ফেলে দেন। ওরা ওদের মতো বড় হয়ে উড়ে যাক। পাতাসহ ছিঁড়ে নিয়ে অন্য ঝোঁপঝাড়ে ফেলে দিলেই ওরা বেঁচে যায়। ওরা বেঁচে গেলে একটা রঙিন প্রজাপতি বেঁচে গেলো। তবে গাছ পাতা ফুল ফলের জন্য ক্ষতিকর অনেক পোকামাকড়ও কিন্তু আছে। সেগুলাও আমাদের চিনতে হবে। আমরা যারা বাগান ও গাছের যত্ন করি ।নানা ধরনের পোকা আমরা দেখতে পাই। সাদা সাদা ছোট ছোট কীটগুলোর নাম সাইলিড পোকা। আরেক ধরণের হয় কুশন স্কেল পোকা।  সাদা গুড়ি গুড়ি দেখতে। এরপর মিলি বাগ। আমগাছে যেটা খুব বেশি। খুব সাদা পোকা। অনেকে বলেন জায়ান্টা মিলিবাগ। পাতায় যে ছত্রাক। সেটার নাম সাইট্রাস স্ক্যাব। পাতা ও ফল সাদা হলুদ হয়ে যায়। অনেকসময় কালোও হয়। পাতা ও ফলের এই রোগের নাম ক্যাংকার ও গ্রিনিং রোগ।

হোমমেইড  লিকুইড স্প্রে করেও  এ ধরনের পোকা ও রোগ বালাই থেকে আপনার গাছ আপনি রক্ষা করতে পারবেন। এবং খুব সহজে। মরিচ গাছের পাতা কোঁকড়ালে, যেকোনো পোকা দমনে, গাছের পাতা, ফুল ফলের গায়ে যে কোন ছত্রাকনাশক রোগ বালাইতেও হোমমেইড লিকুইড হতে পারে সঠিক সমাধান। ভিডিওক্লিপ দেখে এসব ঘরোয়া কীটনাশক আপনি নিজেও বানিয়ে নিতে পারেন।

সতর্কতার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। বাজারের কেনা কীটনাশক হোক আর ঘরে তৈরি লিকুইড হোক। আপনি ব্যবহারের সময় চোখ মুখ ঢেকে নিবেন। মাস্ক পড়ে নিবেন। আর তৈরির সময় শুধু বাগানে ব্যবহার করার একটি চামচ ব্যবহার করবেন। যে কোন কীটনাশক ও ওষুধ হাতে লাগানো উচিত নয়। আর সকল বিপদজনক কীটনাশক এবং স্প্রে বোতল আমরা অবশ্যই শিশুদের নাগালের থেকে দুরে সরিয়ে রাখব।বিপদজনক কীটনাশক ব্যবহারে সতর্কতার কোন বিকল্পতা নেই।  

মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি

Facebook
Twitter
LinkedIn