ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা ববিতার জন্মদিন আজ। ১৯৫৩ সালের আজকের দিনেই পৃথিবীর আলো দেখেছেন চিরসবুজ এই নায়িকা। জীবনের ৬৯ বসন্ত পেরিয়ে ৭০ এ পা রাখলেন তিনি।
ববিতা ছিলেন সত্তর দশকের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী। অভিনয় জগতে পা রেখে খুব অল্প সময়েই দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এই নায়িকা। ক্যারিয়ারে উপহার দিয়েছেন একের পর এক ব্যবসা সফল সিনেমা। যা আজও দাগ কেটে আছে সিনেমাপ্রেমীদের মনে।
তাঁর আসল নাম ফরিদা আক্তার পপি। কিন্তু চলচ্চিত্রে আসার পর পরিচিতি পেয়েছেন ববিতা নামে। তার বাবা নিজামুদ্দীন আতাইয়ুব একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মা জাহানারা বেগম ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। ববিতা ছিলেন তার সহকারী। মায়ের মতো নিজেরও ইচ্ছা ছিল চিকিৎসক হওয়ার, তবে ভাগ্য তাকে নিয়ে আসে রঙিন পর্দায়।
১৯৬৮ সালে বড়বোন সুচন্দা অভিনীত ও জহির রায়হান নির্মিত ‘সংমিত’ সিনেমার মাধ্যমে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় জগতে আত্মপ্রকাশ ঘটে ববিতার। এতে রাজ্জাক-সুচন্দার মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করেন, যদিও মুক্তি পায়নি সিনেমাটি।
ক্যারিয়ারে ৩০০ টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ববিতা। এর মধ্যে ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, ‘আলোর মিছিল’, ‘ডুমুরের ফুল’, ‘বসুন্ধরা’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘নয়নমনি’, ‘লাঠিয়াল’, ‘মা’, ‘কসাই’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি’, ‘দহন’, ‘দিপু নাম্বার টু’, ‘অশনি সংকেত’, ‘রামের সুমতি’, ‘নাগ-নাগিনী’, ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘চ্যালেঞ্জ’, ‘মিস লংকা’, জীবন সংসার’, ‘লাইলি মজনু’, ‘পদ্মা মেঘনা যমুনা’, ‘পোকা মাকড়ের ঘর বসতি’ সিনেমাগুলো উল্লেখযোগ্য।
১৯৭৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রবর্তনের পর টানা তিনবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার জেতেন তিনি। এ ছাড়া ১৯৮৫ সালে আরেকবার শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী, ১৯৯৬ সালে শ্রেষ্ঠ প্রযোজক, ২০০২ ও ২০১১ সালে পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এ ছাড়া ২০১৬ সালে তাকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আজীবন সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করা হয়।