২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:০০
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:০০

যা থাকছে সাইবার নিরাপত্তা আইনে

বহুল আলোচিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও পরিবর্তন করে ভিন্ন একটি আইন আনার সিদ্ধান্তে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ। এই নতুন আইনটির নামকরণ করা হয়েছে সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশ কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এনে এই আইনটি করা হচ্ছে।

নতুন আইনে মোট ধারা ৬০টি। এটি আগামী সেপ্টেম্বরে সংসদে বিল আকারে পাসের জন্য উত্থাপন করা হবে। সেখানে এটি অনুমোদিত হবে বলেও আশার কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না, পরিবর্তন করা হচ্ছে। এর অনেকগুলো ধারা সংশোধন করে ‘সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৩’ নামে নতুন এই আইন করা হবে।

নতুন এই আইনের বিষয়ে অনুমোদনের পর বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সরকার মনে করেছে সাইবার অপরাধ অনেক হচ্ছে। তাই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের অনেক ধারাকে সংযুক্ত করে নতুন আইনটি করা হয়েছে। এটায় আগের আইনের পরিবর্তন হয়েছে।

নতুন আইন অনুযায়ী একটা সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সি থাকবে। এ ছাড়া আগের আইনে জেলের বিধান বেশি ছিল। এখনকারটায় জরিমানার পরিমাণ বেশি রাখা হয়েছে, জানান সচিব।

নতুন আইনে অজামিনযোগ্য ধারা- ১৭, ১৯, ২১ ও ৩৩। আর জামিনযোগ্য ধারা- ১৮, ২০, ২২, ২৪, ২৬, ২৮, ২৯। ভেটিং (আইন মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই) শেষ করে আবার ক্যাবিনেটে আসবে আইনটি।

মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পরিবর্তনটা এতটাই করা হয়েছে, সেখানে যাতে কোনো দ্বিধা তৈরি না হয়, সেজন্য ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নাম রহিত করে তার পরিবর্তে সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট করা হয়েছে। ব্যাপারটা হচ্ছে, আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে, নামে পরিবর্তন আনা হয়েছে, অনেক জায়গায় সাজার পরিমাণ বেশি ছিল, সেটা কমানো হয়েছে, যেখানে উপধারা দিয়ে পুনরায় অপরাধ করলে সাজা ডবল হয়ে যেত, সেটা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হয়েছে। কোনো সংশয় যাতে তৈরি না হয়, সেই কারণে রহিতকরণ ও হেফাজত করণের বিধান রেখে সাইবার নিরাপত্তা আইন করছি।

তিনি আরও বলেন, যেসব পরিবর্তন আসছে তার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে মানহানির মামলায় আগে জেল ও জরিমানার বিধান ছিল। জেলের বিধানটি বাদ দিয়ে শুধু জরিমানার বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn