পঁচাত্তরের পনেরই আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, দোয়া মাহফিল ও দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরণসহ নানা আনুষ্ঠানিকতায় পালন করা হলো জাতীয় শোক দিবস। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের। ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে, জাতীয় শোক পালনে সব সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। বিভিন্ন উপাসনালয়ে প্রার্থনা করা হয় পনেরই আগস্টের শহীদদের জন্য।
নানা আয়োজনে পালিত হলো জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী। এ উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে আলোচনা সভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও দর্শন তুলে ধরেন বক্তারা। পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন অংশ নেন।
জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে বিকেলে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধু ভবনে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে মহিলা লীগ। অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর বোন শেখ রেহানা এবং মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ। এসময় ১৫ই আগস্টের শহীদদের জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
এদিকে, জাতীয় শোক দিবসে ১৫ই আগস্টের শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ। দিনের শুরুতেই ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
দিবসটি পালনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ছিলো নানা আয়োজন। মিলাদ মাহফিল ও পঁচাত্তরের শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।
রাজধানীতে দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মাঝে এদিন খাবার বিতরণ করা হয়।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পঁচাত্তরের ঘাতকরা আবারও সংঘটিত হচ্ছে, এমন অভিযোগ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বলেন, সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় প্রস্তুত আছেন তারা।
পঁচাত্তরের ঘাতকদের মধ্যে যারা বিদেশে পলাতক, তাদের ফিরিয়ে এনে বিচারের রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান নেতাকর্মীরা।
জাতীয় শোক দিবসে জাতির জনক ও তাঁর পরিবারের শহীদ সদস্যদের জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া করা হয়। ঢাকেশ্বরি মন্দিরেও ছিলো বিশেষ প্রার্থণা। বৌদ্ধ বিহারগুলোতে প্রার্থণর আয়োজন করা হয়।
জাতীয় শোক পালনে এদিন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে দিনব্যাপী জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়।