আসন্ন অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হতে কোম্পানিগুলোকে অনুপ্রাণিত করতে করপোরেট করহার ২৫ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম।
মঙ্গলবার (৯ জুন) এক ভিডিও বার্তায় সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম এ প্রস্তাব জানান। সিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে উল্লেখ করা হয়, আসন্ন বাজেটকে কেন্দ্র করে সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম চারটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়েছেন।
এর মধ্যে করপোরেট করহারের পুনর্বিন্যাসের জন্য তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার (করপোরেট কর হার) শতকরা ২৫ ভাগ থেকে কমিয়ে ২০ ভাগ করা যেতে পারে। এতে করে যেসব কোম্পানি তালিকাভুক্ত নয়, তারা পুঁজিবাজারে আসতে অনুপ্রাণিত হবে।
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা বাড়ানোর জন্য করমুক্ত লভ্যাংশের সীমা ৫০ হাজার থেকে ১ লাখে উন্নীত করা যেতে পারে।
ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা বৃদ্ধিকরণের লক্ষ্যে ব্যক্তি শ্রেণির করদাতাদের করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার করা যেতে পারে।
এসএমই কোম্পানির জন্য নতুন করহার নির্ধারণের লক্ষ্যে নতুন যেসব কোম্পানি শেয়ারবাজারে আসবে তাদের জন্য প্রথমেই কর দিতে বাধ্য না করে, প্রথম তিন বছরের জন্য শূন্য করে দেওয়া যেতে পারে। পরবর্তীতে শতকরা ১৫ ভাগ হারে করারোপ করা যেতে পারে। কারণ আমাদের উদ্দেশ্য বাজারের গভীরতা বৃদ্ধি এবং ব্যাংকের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে শেয়ারবাজারে যেন নতুন ভালো ভালো কোম্পানি আসে সে ব্যাপারে অনুপ্রেরণা দেওয়া।
এছাড়া চাকরির নিরাপত্তার (জব প্রোটেকশনের) জন্য যেহেতু কোভিড পরবর্তী অর্থনীতিতে প্রস্তুকারক খাতে চাকরি হারানোর সম্ভাবনা আছে। তাই সেসব ক্ষেত্রে ওই কোম্পানির জব রিট্রেন্সম্যান্ট করবে না তাদের কিছু ইনসেনটিভ এবং ট্যাক্স কনসেশনের ব্যবস্থা করা যেতে পারে।