১। র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সাবির্ক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। জঙ্গী, সন্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ছিনতাইকারী, মাদক ব্যবসায়ী এবং খুন, অপহরন ও ধর্ষণসহ বিভিন্ন মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী গ্রেফতারে র্যাব নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আসছে। গোয়েন্দা নজরদারী ও আভিযানিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় অপরাধ নিয়ন্ত্রণে র্যাব ইতিমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল ১৪ অক্টোবর ২০২৩ খ্রিঃ তারিখ বিকালে র্যাব-১০ এর একটি আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে। উক্ত অভিযানে রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানার মামলানং- ০৩, তারিখ- ০২/১০/২০২৩ খ্রিঃ, ধারা- নারী ও শিশুনির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) এর ৭/৩০/৯(১); চাঞ্চল্যকর ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকা শিশুকে অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার পলাতক প্রধান আসামী লিটন উদ্দিন (৩৬), পিতা-মৃত হাফিজউদ্দিন, সাং-রামকান্তপুর তালুকদার পাড়া, থানা-রাজবাড়ী সদর, জেলা-রাজবাড়ী’কে গ্রেফতার করে।
৩। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, ৪র্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া স্কুল ছাত্রী ভিকটিম (১২) রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানা এলাকায় তার বাবা মায়ের সাথে একত্রে বসবাস করে আসছে। ভিকটিম স্কুলে যাওয়া-আসার সময় আসামি লিটন প্রায়ই ভিকটিমকে বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে কু-প্রস্তাব দিতো। ভিকটিম লিটনের কু-প্রস্তাবে কোনো সাড়া না দিয়ে ঘটনাটি তার বাবাকে জানালে ভিকটিমের বাবা আসামি লিটনকে বলে যে, সে যেন ভিকটিমকে কখনো উত্যক্ত না করেন তুবা তারা আইনের আশ্রয়নিতে বাধ্য হবে।
৪। অতঃপর আসামি লিটন ভিকটিমের বাবার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২৪/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ আনুমানিক সকাল ১০:৩০ ঘটিকায় ভিকটিমতাদের নিজ বাড়ীহতে স্কুলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাস্তায় পৌছা মাত্র আসামি লিটন ও অজ্ঞাতনামা আরও দুই (০২) জন আসামির সহযোগীতায় অপহরণ করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আসামি লিটন রাজধানী ঢাকায় তার ভাড়া করা অজ্ঞাতনামা একটি বাসায় ভিকটিমকে আটকে রেখে জোরপূর্বক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
৫। গত ২৭/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখে ভিকটিম কৌশলে আসামি লিটনের হাত থেকে পালিয়ে এসে তার বাবা মাকে ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে খুলে বলে। উক্ত ঘটনার পর ভিকটিমের বাবা তার আত্মীয়-স্বজনদের সাথে পরামর্শ করতঃ বাদী হয়ে ধর্ষক লিটন ও তার অপর দুই সহযোগীসহ তিন (০৩) জনের বিরুদ্ধে রাজবাড়ী জেলার রাজবাড়ী সদর থানায় একটি অপহরণ করে ধর্ষণমামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে লিটনসহ অন্যান্য আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
৬। গ্রেফতারকৃত আসামীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।