২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:০০
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:০০

গাজায় খাবার পানির সংকট চরমে

অবরুদ্ধ গাজায় খাবার পানিও শেষ হয়ে এসেছে। সেখানে মানবিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, ‘গাজার পানি ফুরিয়ে যাচ্ছে এবং গাজার জীবন ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ গাজা উপত্যকায় বিশুদ্ধ পানির অভাব স্বাস্থ্যের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা সাধারণত ইসরায়েল থেকে পাইপলাইন, ভূমধ্য সাগরে ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট এবং কূপসহ কয়েকটি উৎস থেকে খাবার ও ব্যবহারের পানি পায়। ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরায়েল বিদ্যুৎ, জ্বালানিসহ সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করেছে গাজায়। জ্বালানির অভাবে সেখানকার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পানির উৎসগুলো থেকে পানি সংগ্রহও হ্রাস পেয়েছে।

জাতিসংঘ বলছে, পানি সরবরাহ মানবাধিকারের অংশ এবং এটি মৌলিক চাহিদার একটি। মানুষের বেঁচে থাকার জন্য পানির সরবরাহ প্রয়োজন।

কিন্তু গাজার পরিস্থিতি এখন চরম সংকটে। সেখানকার মানুষ প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার পানিও পাচ্ছে না। এটি চলতে থাকলে খাবার ও পানির অভাবে অনেক মানুষের মৃত্যু হবে বলে মনে করছে জাতিসংঘের ফিলিস্তিনে কাজ করা সংস্থাগুলো।

এদিকে, গাজায় নিহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৪৮৮ জনে। আহত হয়েছেন আরও ১২ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি। পশ্চিম তীরে আহতের সংখ্যা ১৩০০ এর বেশি।

টানা প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে এবং স্কুল ও হাসপাতালের মতো স্থানেও হামলার ঘটনা ঘটছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

Facebook
Twitter
LinkedIn