বিএনপি নির্বাচনে আসতে চাইলে আইন দেখে সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সেই সঙ্গে ভোটের তারিখ পেছানোর প্রয়োজন হলে সেটাও কমিশন ভেবে দেখবে বলেও জানান তিনি।
আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে এ কথা বলেন ইসি রাশেদা।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলসহ ১০টি দল ইতোমধ্যে জোটবদ্ধ হয়ে ভোটে অংশ নেবে বলে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে। তবে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে এখনো কোনো সাড়া দেয়নি। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের একদফা দাবিতে আন্দোলন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছে।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগসহ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহী বেশ কয়েকটি দল তাদের প্রার্থী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তার আগে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত, তা বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। আর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। এছাড়া প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে।
এক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে প্রচার শেষ করতে হয়। অর্থাৎ আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে।