২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৪৮
২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৬শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১১:৪৮

গাড়িতে বসে বই খুলে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের পরীক্ষা!

আইনজীবী তালিকাভুক্তির লিখিত পরীক্ষার যেন তুঘলকি কাণ্ড। সকাল থেকেই ছিল না নিয়মের কোন বালাই, অভিযোগেরও কোন শেষ নেই। একপর্যায়ে ‘প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে’ অভিযোগ তুলে পরীক্ষা বর্জন করেন অনেক পরীক্ষার্থীরা। এ সময় তারা প্রশ্নপত্র ও খাতা নিয়েই পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে যান। পরে তাদের কয়েকজনকে বাইরে বসে লিখতে দেখা গেছে। এছাড়া পরীক্ষাকেন্দ্রে ভাঙচুর করার অভিযোগও পাওয়া গেছে।

শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর লক্ষ্মীবাজারের ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ ও মোহাম্মদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজে ‘প্যাটার্ন বহির্ভূত প্রশ্ন হয়েছে’- এমন অভিযোগে একদল পরীক্ষার্থী বিক্ষোভ শুরু করে। এতে সবার মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তাদের সঙ্গে অনেকেই যুক্ত হন। এক পর্যায়ে তারা সিট থেকে উঠে হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করলেও বাকিরা তাদের অনুৎসাহিত করে। অনেকের খাতা, প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এক পর্যায়ে কয়েকজন পরীক্ষার্থী প্রশ্ন ও খাতা নিয়ে বাইরে চলে আসেন। তাদের বাইরে বসে লিখতে দেখা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, অনেকে আবার গাড়িতে বসে উত্তর লিখেছেন।

দেড়ঘণ্টার মতো বন্ধ থাকার পর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আবার পরীক্ষা শুরু হয় মহানগর মহিলা কলেজে। অভিযোগ রয়েছে, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের সময় কোনো তল্লাশির ব্যবস্থা ছিল না। এতে অনেকেই পুরো খাতা ভরে লিখে নিয়ে কেন্দ্রের ভিতরে প্রবেশ করেছেন। বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কেন্দ্রের গেটে অবস্থান নেন। এসময়, একজন পরীক্ষার্থী প্রায় পুরো খাতা লিখে নিয়ে এসে কেন্দ্রে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি।পরীক্ষা শুরুর অল্প সময় পরই পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও এত পৃষ্ঠা কিভাবে লিখলেন? এমন প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি এই শিক্ষানবিশ আইনজীবী। বলেন, ঝামেলা শুরুর পর অনেকে কেন্দ্র থেকে খাতা নিয়ে বের হয়ে গেছে। আমিও বের হয়ে গেছিলাম। এখন পরীক্ষা হচ্ছে শুনে আসছি কিন্তু ঢুকতে দিচ্ছে না।এদিকে পরীক্ষাকে ঘিরে এমন পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, যারা পরীক্ষা দিচ্ছে তারা শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা দেবে। যারা দিচ্ছে না সেটা তাদের বিষয়। তবে যেসব জায়গায় ঝামেলা হয়েছে সেখানকার বিষয় নিয়ে কি করা যায় আমরা ভেবে দেখবো।শনিবার সকাল ৯টায় রাজধানীর নয়টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষা শুরু হয়। প্রায় ১৩ হাজার শিক্ষানবীশ আইনজীবী বার কাউন্সিলের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেন।

সূএ সময় টিভি

Facebook
Twitter
LinkedIn