শীত জেঁকে বসায় অনেক জায়গায় দিনের বেলায় সূর্যের দেখা মেলে না। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলেছে গাড়ি। বেশি সমস্যায় পড়ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। শীতের কষ্টে বেশি ভুগতে হচ্ছে দরিদ্র পরিবারের বৃদ্ধ ও শিশুদের। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ছয় দশমিক ছয় ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাউসার পারভিন বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে যে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে, এটা আগামী তিন থেকে চারদিন অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তারপর আস্তে আস্তে স্বাভাবিক শীতের যে তাপমাত্রা ডিসেম্বর মাসে থাকার কথা সেই তাপমাত্রা চলে আসার সম্ভাবনা। এই মাসের শেষের দিকে আরেকটি মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আকাশ যদি মেঘমুক্ত থাকে, তাহলে এই দিনের বেলা স্বাভাবিক যে সূর্যের তাপমাত্রা, দিনের বেলায় গরম থাকবে এবং রাতের আবার ঠাণ্ডাটা অনুভূত বেশি হবে।’
আবহাওয়া অফিস বলছে, শুক্রবার থেকে ঢাকাসহ সারা দেশে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আগামী দুই-তিনদিন শীত আরও বাড়তে পারে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, যশোর, কুষ্টিয়া, বরিশাল এবং ভোলা অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশের রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।