২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:২২
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৬:২২

রাজনৈতিক কড়চা

স্বাধীনতার আকাঙ্খা ও জনগণের সরকার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জণতান্ত্রিক আন্দোলনের বর্ষীয়ান নেতা এ.আর.এম জাফররুল্লাহ চৌধুরী আসন্ন ৭ই জানুয়ারি নির্বাচন’কে ঘিরে মুখোমুখি হয়েছেন নির্বাচন ও নির্বাচনে জনগণ এই নির্বাচনে কতটা স্বত:স্ফূর্ত ভাবে ভোট কেন্দ্রে আসবে, এই বিষয়ে প্রাষঙ্গিক কিছু কথা বলেছেন। অভিযোগ নিউজ বিডি ২৪’র সাথে আলাপচারিতার অংশবিশেষ পাঠক তুলে ধরা হলো পাঠক বৈঠকে –

অ.নিউজ ঃ দেশে এখন নির্বাচনী হাওয়া বইছে, এক পক্ষ বলছে শেষ পর্যন্ত এই নির্বাচন হবে না। আপনি কি বলেন?

জা. চৌঃ নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন তো হতেই হবে। আর গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সরকোর গঠন হয় নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় আবার নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হয়। এবং তা যথাসময়ে। এটা সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়। যারা বলেন এ নির্বাচন হবে না। উত্তর তো তারাই দিতে পারবেন। আমার ব্যক্তিগত মত। এই নির্বাচন হবে।

অ.নিউজ ঃ আপনার দলের একটি শ্লোগান আছে- “জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় এক হও” এটার প্রকৃত অর্থটা কি বর্তমানের সাথে কতটা গ্রহণযোগ্য?

জা. চৌঃ ১৯৭১ সালে এ দেশে সারে সাত কোটি মানুষ ছিল। আমরা বাংলাদেশ চেয়েছি। দেশের জন্য ৩০ লক্ষ নারী সম্ভ্রম হারিয়েছে। তার বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। এখন এই দেশের মালিক এই দেশের জনগণ। দেশ শাসিত হবে জনগণ দ্বারা নির্বাচিত সরকার দ্বারা। জনগণ ভোট দিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সরকার গঠন করবে। সুন্দর সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে। সরকার গঠনে সহযোগিতা করে। এখানে একটি কথা, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে নিয়ে জোড়ালো জনমত গঠন করতে সক্ষম হলেই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে সক্ষম হয়। নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচনের মূল ব্যবস্থাপক। তারা এর আয়োজক। তাদের কাজ নিরপেক্ষ থেকে নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। সুষ্ঠু সুন্দর নির্বাচন দেয়ার জন্য তাদের আন্তরিকতা থাকা দরকার। আমাদের ¯েøাগানের মূল কথার অর্থ আশাকরি পেয়ে গেছেন।

অ.নিউজ ঃ বর্তমান সরকারের দীর্ঘদিন ক্ষমতা ও উন্নয়ন বিষয়ে আপনার মতামত।

জা. চৌঃ আসলে এত দীর্ঘ সময় ইতিপূর্বে অন্য কোন সরকার ক্ষমতায় থেকে দেশ শাসন করে নাই। অন্য সরকারের তুলনায় তাই নিঃসন্দেহে এই সরকারের উন্নয়ন অনেক বেশি হয়েছে। বড় বড় মেঘা প্রকল্প সহ বহু গুচ্ছ উন্নয়ন সম্পুন্ন হয়েছে। আপনার স্বাস্থ্য কেমন আছে জানতে হলে যেমন হার্ট বিট ও হাতের পালস দেখতে হয়, তেমনি একটি সমাজকে জানতে হলে সে সমাজের অর্থ ব্যবস্থা ও ব্যাংকি ব্যবস্থার মূল্যায়ণ করতে হয়। উন্নয়ন তো সব সরকারই কম বেশি করে থাকে। এটা সরকারের একটা রুলিংওয়ার্ক। দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫২ বছর। এই সময়ে অনেক সরকারই রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় কোন সরকারই জাতীয় উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রনয়ণ করে নাই। একটি সরকার কোন উন্নয়ন প্রকল্প শুরু করল এবং সরকার পরিবর্তন হলে পূর্ববর্তী সরকারের কাজ বন্ধ করে দিয়ে তারা নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নতুন করে উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়। তাই আমাদের উন্নয়নের একটা নীতিমালা খুব জরুরি। একটি সরকার পাঁচ বছরের জন্য আসবে আবার মেয়াদ শেষে চলে যাবে। তখন কোন সরকারের গৃহীত উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আর ব্যহত হবে না। কোন উন্নয়নই কোন সরকারের ঘোষিত একক নীতিমালা হতে পারে না।

অ.নিউজ ঃ এই নীতিমালাটাই কেমন হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন?

জা. চৌঃ আগামী ২০০ বছরের চিন্তা নিয়ে আমাদের উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে, জাতীয় উন্নয়ন নীতিমালা প্রনয়ণ করা দরকার।

অ.নিউজ ঃ সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কিছু বলুন।

জা. চৌঃ আমি বিশ^াস করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ৭ই জানুয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পুন্ন হবে। সকল ভোটাররা যথাসময়ে স্বঃস্ফুর্তভাবে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করবেন। এবং আনন্দের সাথে ভোট দিয়ে নতুন সরকার গঠনে ভূমিকা রাখবেন। ভোট সবার নাগরিক অধিকার।

অ.নিউজ ঃ নতুন সরকারের কাছে আপনার ও আপনার দলের প্রত্যাশা?

জা. চৌঃ সবার মতো আমারও প্রত্যাশা অনেক। ভোট মানেই একটা আবেগ কাজ করে। আমি নতুন ভোটারদের শুভকামনা জানাই। আর নতুন সরকারের কাছে আমি জাতীয় উন্নয়নের নীতিমালা প্রণয়নের দাবী জানাই। প্রত্যাশা রাখি জনগণকে নিয়ে নতুন সরকার আসবে আমাদের। নতুন বছরে অভিযোগ নিউজ বিডি ২৪ এর পাঠককে জানাই শুভেচ্ছা

Facebook
Twitter
LinkedIn