সম্প্রতি ক্যান্সার ধরা পড়ার পর সোমবার করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেতা আবদুল কাদেরের শরীরে।
তার পরিবারের সদস্যরা জানান, রোববার চেন্নাইয়ের ভেলর শহরের মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে সরাসরি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কাদেরকে। সেখানে করোনার পরীক্ষা করা হলে সোমবার তার ফলাফল পজেটিভ আসে।
অসুস্থ বোধ করার পর গত ৮ ডিসেম্বর চেন্নাইয়ে নেয়া হয় আবদুল কাদেরকে। সেখানে পরীক্ষার পর তার শরীরে অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার শনাক্ত হয়, যা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে পৌঁছে গেছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
তবে গুরুতর শারীরিক দুর্বলতার কারণে এই অভিনেতাকে কেমোথেরাপি দিতে পারেননি চেন্নাইয়ের চিকিত্সকরা।
আবদুল কাদেরের শারীরিক অবস্থার উন্নতির জন্য অপেক্ষায় ছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা যাতে কেমোথেরাপির মাধ্যমে চিকিত্সা করা যায়। কিন্তু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ায় কাদেরের জন্য পরিস্থিতি আরো জটিল হয়ে উঠেছে।
ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীসহ সবার কাছে আবদুল কাদেরের জন্য দোয়া কামনা করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
আবদুল কাদের অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘মাটির কোলে’, ‘নক্ষত্রের রাত’, ‘শীর্ষবিন্দু’, ‘সবুজ সাথী’, ‘তিন টেক্কা’, ‘যুবরাজ’, ‘আগুন লাগা সন্ধ্যা’, ‘এই সেই কণ্ঠস্বর’, ‘আমার দেশের লাগি’, ‘সবুজ ছায়া’, ‘দীঘল গায়ের কন্যা’, ‘ভালমন্দ মানুষেরা’, ‘দূরের আকাশ’, ‘ফুটানী বাবুরা’, ‘এক জনমে’, ‘জল পড়ে পাতা নড়ে’, ‘ফাঁপড়’, ‘চারবিবি’, ‘সুন্দরপুর কতদূর’, ‘ভালোবাসার ডাক্তার’, ‘চোরাগলি’, ‘বয়রা পরিবার’ ইত্যাদি।
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের লেখা ‘কোথাও কেউ নেই’ ধারাবাহিক নাটকে ‘বদি’ চরিত্রে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান কাদের।
এছাড়া জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’র নিয়মিত শিল্পী ছিলেন আবদুল কাদের।