কহর দরিয়াখ্যাত টঙ্গীর তুরাগ তীরে দাওয়াতে তাবলীগের শীর্ষ মুরব্বিদের গুরুত্বপূর্ণ বয়ান ও মুসল্লিদের নফল নামাজ, তাসবিহ-তাহলিল এবং জিকির-আসকারের মধ্য দিয়ে শনিবার বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় দিন অতিবাহিত হচ্ছে।
রবিবার সকাল ৯-১০টার মধ্যে যেকোনো এক সময় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের সমাপ্তি ঘটবে।
কাঙ্ক্ষিত আখেরি মোনাজাত কাকরাইল জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ পরিচালনা করার কথা রয়েছে।
তাবলীগের ছয় উসুলের (মৌলিক বিষয়ে) ওপর শনিবার বাদ ফজর মাওলানা আব্দুর রহমানের বয়ানের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় দিনের কার্যক্রম শুরু হয়।
মুরব্বিদের বয়ান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো ময়দানে নেমে আসে পিনপতন নীরবতা। নিজের ইমান আমলকে মজবুত করার একমাত্র মোক্ষম সময় হৃদয়ে ধারণ করে গভীর মনোযোগ দিয়ে মুরব্বিদের বয়ান শুনছেন।
দ্বিতীয় দিনেও ইজতেমাস্থলে মুসল্লিদের আগমন অব্যাহত রয়েছে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষ্যে শিল্পনগরী টঙ্গী এখন ধর্মীয় নগরীতে পরিণত হয়েছে। আখেরি মোনাজাতের আগ পর্যন্ত মানুষের এ আগমন ঢল অব্যাহত থাকবে। কাল আখেরি মোনাজাতে বেশ কয়েকজন ভিআইপি অংশগ্রহণ করবেন বলে বিশেষ সূত্রে জানা গেছে।
এবার ইজতেমা ময়দানে যৌতুকবিহীন বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব ইজতেমার শীর্ষ মুরব্বি প্রকৌশলী মাহফুজ হান্নান।
মুরব্বিদের বয়ান চলাকালে পুরো ইজতেমা ময়দানজুড়ে পিনপতন নীরবতা নেমে আসে। সকালের ঠান্ডা বাতাস ও কনকনে শীত উপেক্ষা করে মুসল্লিদের অধিক মনোযোগ সহকারে মুরব্বিদের মূল্যবান বয়ান শুনতে দেখা গেছে।
যারা বয়ান করছেন: বাদ ফজর বয়ান করেন মাওলানা আব্দুর রহমান। বাদ জোহর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইসমাঈল গোদরা। বাদ আসর বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা জোহায়রুল হাসান।
বাদ মাগরিব বয়ান করবেন ভারতের মাওলানা ইব্রাহীম দেওলা। তার বয়ান বাংলায় অনুবাদ করবেন হাফেজ মাওলানা জোবায়ের আহমেদ।
উল্লেখ্য, ৪ ফেব্রুয়ারি রোববার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে প্রথম পর্বের (আলমি শুরার) বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে। মাঝে চার দিন বিরতি দিয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাযের অনুসারী (ওয়াসিফুল ইসলামপন্থি) মুসল্লিরা বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয়পর্বে অংশ নেবেন। ১১ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে এবারের বিশ্ব ইজতেমার সমাপ্তি ঘটবে।