২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:১১
২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৫:১১

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ

ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ আজ। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসে একটি অবিস্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ভাষণ দিয়েছিলেন, প্রকৃতপক্ষে সেটিই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। যাকে বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। ইতিহাসবিদরা সাতই মার্চের ভাষণকে রাজনীতির মহাকাব্য বলেন। 

তেপান্ন বছরেও একবিন্দু পুরনো হয়নি বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ। দিয়েছিলেন একাত্তর সালের আজকের দিনে। 

এখনকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পরিচয় তখন রমনা রেসকোর্স ময়দান। সেখানে ভোর থেকে দেশের নানা কোনের লাখো বাঙ্গালি এসে জড়ো হয়। সূর্য যখন ঠিক মাথার উপর তখনই সরাসরি মঞ্চে উঠে আসেন বঙ্গবন্ধু। ভুবন কাঁপানো ভাষণ দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

সেই ঐতিহাসিক মুর্হুতে বঙ্গবন্ধুর কাছেই দাঁড়িয়ে সে ভাষন সেলুলয়েডের ফিতায় ধারণ করেছিলেন, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ফিল্ম ডিভিশনের চৌকশ ক্যামেরাপার্সন আমজাদ আলী খন্দকার। জানান, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের সময় মাঠে কোনো শব্দ ছিলোনা, বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি কথা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনছিলো জনতা। 

পাকিস্তানীদের নির্দেশনা উপেক্ষা করে ধারণ করা সেই ভাষণ সংরক্ষণ করাও ছিলো বিরাট চ্যালেঞ্জ। সেই ভয়ঙ্কর দিনের কথা জানান আমজাদ আলী খন্দকার। 

বঙ্গবন্ধুর সাতই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বেতার ও টেলিভিশনে প্রচার করতে দেয়নি পাকিস্তানের সামরিক সরকার। স্বাধীন বাংলাদেশেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর নিষিদ্ধ ছিলো সেই ভাষণ। বর্তমান সরকারের দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতায় ভাষণটি এখন প্রচার করা হলেও তা আরো কার্যকর করা প্রয়োজন বলেই মনে করেন আমজাদ আলী খন্দোকার।

Facebook
Twitter
LinkedIn