আজ ২১শে মার্চ, বিশ্ব বন দিবস। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০১২ সাল থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
গ্লোবাল ফরেস্ট ওয়াচের মতে, পৃথিবীর প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বনভূমি। একটি বনে প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ গাছ থাকে। একজন মানুষের শ্বাস নিতে বছরে ৭৪০ কেজি অক্সিজেন প্রযয়োজন। গড়ে একটি গাছ বছরে ১০০ কেজি পর্যন্ত অক্সিজেন দেয়। ফলে মানুষের বেঁচে থাকা আর পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষা একা হাতেই সামলায় বনাঞ্চলগুলো।
পৃথিবীর ভারসাম্য রক্ষায় বন বা বনভূমির তুলনা চলে না। কিন্তু দেশে আশঙ্কাজনক হারে কমছে বনভূমি। গবেষেণা বলছে, অপরিকল্পিত উন্নয়নে ২৮ বছরে শুধুমাত্র ঢাকায় সবুজের পরিমাণ কমেছে অর্ধেকের বেশি। ফলে তাপ প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াসহ খাদ্যশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। হুমকিতে পড়েছে জীববৈচিত্র।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের গবেষণা বলছে, ৩০৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের রাজধানীর ৮১ দশমিক ৮২ শতাংশই কংক্রিটে ঢাকা। অর্থাৎ মোট আয়তনের মাত্র ৯ দশমিক ২ শতাংশ এলাকা সবুজে আচ্ছাদিত। একটি আদর্শ শহরে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ সবুজের দরকার হলেও বর্তমানে আছে ৭ শতাংশ।
অপরিকল্পিত নগরায়ন ও নির্বিচারে গাছ কাটার ফলে প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য শহরাঞ্চলসহ পুরো দেশের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গাছপালা বা বনভূমি কমে যাওয়ায় পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক ব্যাধি বাড়িয়ে দিচ্ছে। যা জাতীয় উন্নয়নকেও বাধাগ্রস্ত করছে।
এমন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে জরুরি ভিত্তিতে শহরের প্রতিটি ফাঁকা স্থানে গাছ লাগানো, ছাদবাগান বাড়ানোসহ অবকাঠামো নির্মাণে পরিবেশকে গুরুত্ব দেয়ার কথাও জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।