সম্মিলিত প্রচেষ্টা হৃদয়ে ধারণ করে এটি একটি অনন্য সমন্বিত উদ্যোগ। ক্ষুধার্ত, অনাহারী ও ভ্রাম্যমান রোজাদারদের জন্য নিয়মিত ইফতার আপ্যায়ন সেবা আয়োজন করা। প্রথম রোজা থেকে চলছে মহতি এই কার্যক্রম। শুক্রবারের দিনটি আবার স্পেশাল। ছুটির দিনটিতে গোশতের সাথে পোলাও পরিবেশন করা হয়। ইফতার করছে প্রায় ২৫০ জন রোজাদার। পুরো রোজা মাসের ইফতার আপ্যায়ন সেবার প্রধান আয়োজক বা উদ্যোক্তা- সবুজবাগ থানাধীন ৭৯ উত্তর বাসাবো প্রাঙ্গণের মানবিক সংগঠন “ সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য”। সাথে আছে অন্যান্য সমাজসেবামূলক আরও ১১ টি সংগঠনের আর্থিক অনুদান ও সেচ্ছাসেবা। “সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য” সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়ক মোহাম্মদ আমিনুল এহসান খাঁন আহাদ প্রতিবেদককে জানান; “ ২৫০ জনের অধিক মানুষকে ৩০ টি দিন ইফতার করানোর মতো একটি বিশাল কাজ একার পক্ষে সম্ভব নয়। দেশে বিদেশের অনেক স্বহৃদয়বান, শুভাকাঙ্খিরা যে যার সামর্থানুযায়ী আর্থিকভাবে আমাদের সাপোর্ট দিয়েছেন। আরও অন্যান্য সামাজিক ও মানবিক সংগঠনের সম্পৃক্ততায় আমরা করোনাকালীন সময় থেকেই “মাস ব্যাপী ইফতার আপ্যায়ন সেবা” কর্মসূচীটির ধারা সচল রেখেছি। আমাদের বাসাবো এলাকার ছোট ভাইবোনরা ছাড়াও আশেপাশের প্রতিবেশী এলাকার অনেক স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা, স্কাউটের ছেলেমেয়েরাও এমন মহতি এই জনসেবাকে এগিয়ে নিতে আমাদের প্রতি বছরই আন্তরিকতার সাথে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। সবাইকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে মন থেকে অভিবাদন জানাই।”
“আমরা সবার সবাই আমাদের” স্লোগান বুকে ধারণ করেই পবিত্র মাসটিদে মহতি উদ্যোগটি শুরু হয়েছে। প্রথস রোজা থেকে শেষ রোজা পর্যন্ত চলবে এই ইফতার আপ্যায়ন সেবা। ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে নিয়মিত সেবা দেয়ার জন্য আটটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে নিজের থেকেই মানুষের সেবায় কিশোর ও যুব সমাজ বাজার সদাই থেকে শুরু করে ইফতার তৈরি, প্রস্তুতি ও পরিবেশন সব কিছুই ওরা করে যাচ্ছে খুব সুন্দর পরিপাটি নিয়মে। সৃষ্টাকে খুশি করার তাগিদেই এই প্রজন্ম এমন একটি সেবামূলক কাজে রোজ সব কাজ ফেলে ছুটে আসছে। মানুষের সেবায়। রোজাদারদের মুখে ইফতার তুলে দিতে। সবার পরামর্শে চলছে এই আয়োজন। সেবা পরিসেবা ও কাজের মাধ্যমেই তরুণ সমাজের মধ্যেও গড়ে উঠছে একটি সুন্দর আত্মিক সম্পর্ক।
শুধু মাসব্যাপি ইফতার আপ্যায়নেই থেমে নেই তরুণ প্রজন্মের এই সংগঠন সম্প্রীতি সৌহাদ্যের কর্মসূচী। এই ইফতার আয়োজক কমিটির তরুন তরুণীরা এই রোজার মধ্যেই ইফতার সেবার পাশাপাশি-বাসাবো আলাউদ্দিন স্মৃতি খেলার মাঠে একটি ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেও অংশ নিয়ে করে দেখিয়েছে- কি করে সমাজ সেবায় এগিয়ে আসতে হয়। এই ক্যাম্পে ২০০ অধিক রোগী দাঁত, চোখ, নাক, কান, গলাসহ অন্যান্য সাধারণ রোগের চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করেছে। ২৬ শে মার্চ বিশেষ দিনে এই চিকিৎসা ক্যাম্পের সমাপনীতে ইফতার ও দোয়ার মাহফিলে আমাদের সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়ার অনুষ্ঠান হয়। এমনকি স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে শিশুদের ও বড়দের পতাকা বিতরণ করা হয়।
স্বদেশপ্রেমের চেতনা জাগ্রত করতে যা এলাকায় খুব প্রশংসিত হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদক
ছবি: সম্প্রীতি ও সৌহাদ্য