২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:২৮
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / দুপুর ১২:২৮

ঢাকা দক্ষিণে প্রথম লকডাউন হবে ওয়ারী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় রেড জোন হিসাবে ওয়ারী এলাকাকে প্রথম লকডাউন করা হবে বলে দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন থেকে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত আসতে আরও সময় লাগতে পারে।

করপোরেশন সূত্র জানায়, রেড জোন হিসাবে ওয়ারীকে আগে থেকেই চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ব রাজাবাজার ও ওয়ারী এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করে লকডাউনের পরামর্শ দিয়েছিল। সে অনুযায়ী ম্যাপিংও দেওয়া হয়েছিল। ওই ম্যাপ অনুসারে ওয়ারী এলাকাকে লকডাউনের বিষয়ে আবারো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরামর্শ দিয়েছে।

এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে বৃহস্পতিবার (২৫ জুন) সকালে নগর ভবনে বৈঠক ডেকেছিলেন মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। ওই বৈঠক থেকে ওয়ারী এলাকায় লকডাউনের বিষয়ে ঘোষণা দেওয়ার কথা ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে। তবে অনিবার্য কারণ দেখিয়ে বৃহস্পতিবারের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে।

ডিএসসিসি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাসের জানান, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়ন নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে যে বৈঠক ডাকা হয়েছিল সেটি বাতিল করা হয়েছে। বৈঠকে পুলিশ, কাউন্সিলর, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, এটুআই প্রকল্পসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ডাকা হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে পরে বৈঠকের সময় এবং স্থান জানিয়ে দেওয়া হবে।

এদিকে আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, দক্ষিণে ওয়ারীই হবে প্রথম লকডাউন এলাকা। তবে এ ঘোষণা আগামী শনিবার (২৭ জুন) রাত অথবা রোববার (২৮ জুন) দিনে আসতে পারে।

এদিকে গত মঙ্গলবার (২৩ জুন) ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন প্রস্তুত, লকডাউন বাস্তবায়নে এলাকাভিত্তিক সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এর আগে গত ১৬ জুন জোনিং সিস্টেম বাস্তবায়নে প্রথম বৈঠক করেন তাপস। সে সময় তিনি বলেন, জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করেই আমরা লকডাউন বাস্তবায়নে যাবো। যাতে জনগণের কোনোরকম কষ্ট বা দুর্ভোগ না হয়, সেদিকটা প্রাধান্য দিয়েই আমরা ডিএসসিসিতে লকডাউন বাস্তবায়ন করবো। লকডাউন এলাকায় সংক্রমণের হার যাতে না বাড়ে এবং এই সংক্রমণ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে লকডাউন তুলে নেওয়ার পর যাতে সে এলাকা গ্রিন জোন হিসাবে চিহ্নিত করা যায়, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।

Facebook
Twitter
LinkedIn