প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ এগিয়ে গেছে। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্যই বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে ফিরে আসি। দেশের জনগণই আমার বড় শক্তি, তারা আপন করে নিয়েছিলেন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর আশকোনায় হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ঘরে বসে হজের সব কার্যক্রম করা যাচ্ছে এখন। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে দেশের মানুষ।
তিনি বলেন, হজ ক্যাম্পের আধুনিকায়ন করা হয়েছে। আন্ডারপাস করে দেয়া হবে এখান থেকে বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে। যেখানে আধুনিক সুবিধা থাকবে। দেশের মডেল মসজিদগুলোতে হজের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে রেজিষ্ট্রেশন সবই হবে। সেই লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সকলের সহযোগিতা পাওয়ায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ই মে) থেকে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে হজ ফ্লাইট চালু হওয়ার কথা রয়েছে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রথম হজ ফ্লাইট বিজি-৩৩০১ বিমানটি ৪১৯ জন যাত্রী নিয়ে সকাল ৭টা ২০ মিনিটে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
এ দিনেই দুপুর ১ টায় সৌদি আরবের ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
ঢাকা হজ অফিসের আইটি ইনচার্জ কাজী মো. মুরাদ ই আলম জানান, এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ বাংলাদেশী হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকী ৮০ হাজার ৬৯৫ জন ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করবেন।
তিনি আরো জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ইতোমধ্যে ৪ হাজার ৩১৪ হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন এবং ব্যক্তিগত ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করতে ৭৮ হাজার ৮৯৫ হজযাত্রী নিবন্ধিত হয়েছেন।
আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ১১৭টি হজ পূর্ব ফ্লাইটে করে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন এবং মে মাস থেকে ১২ জুনের মধ্যে সৌদি আরবে ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইটে করে বাকী হজযাত্রীদের হজ পালন করতে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ বিমান ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশী হজযাত্রীদের নিয়ে ফিরতি ফ্লাইট শুরু করবে এবং সৌদি আরবের বিমান সংস্থা ফ্লাইনাস ২১ জুন থেকে হজ ফিরতি ফ্লাইট চালু করবে।