২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৪৩
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:৪৩

বেতন মওকুফের বিনিময়ে ছাত্রীকে ‘একান্তে সময় কাটানোর’ প্রস্তাব

বরিশাল ইসলামী ব্যাংক নার্সিং ইনস্টিটিউটের এক ছাত্রীকে একান্তে পাওয়ার প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর উদ্দিনের বিরুদ্ধে। ঐ ছাত্রীর বেতন মওকুফের আবেদন কার্যকর করতে এই অনৈতিক প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রী প্রমানসহ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিলে প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেন তারা। অন্যান্য শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের হুশিয়ারী দিলে কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আবেদন গ্রহণ করে। তবে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যাওয়া আশংকা করছেন অন্যান্য শিক্ষার্থীরা। গত নভেম্বর মাসে এই ঘটনা ঘটে। ভূক্তভোগী ছাত্রীর বাড়ি পিরোজপুর।

তিনি জানান, করোনাকালে নার্সিং ইনস্টিটিউটের পুরো বেতন পরিশোধ করতে পারেননি তিনি। বকেয়া বেতনের জন্য ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে তার ওপর চাপ প্রয়োগ করছিলেন ইনস্টিটিউটের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর উদ্দিন। ছাত্রী এই মুহূর্তে বেতন পরিশোধ করতে পারবে না বলে জানান। এ নিয়ে নানা কথাবার্তার এক পর্যায়ে বেতন মওকুফ করে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর উদ্দিন ঐ ছাত্রীকে তার সাথে একান্তে দেখা করতে বলে। কিছু পেতে হলে কিছু দিতে হবে জানায়। এতে ঐ শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায়। এতে বিব্রত হয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর উদ্দিন তার কথা না শুনলে ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করে বের হতে পারবে না বলে ঐ ছাত্রীকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ম্যাসেঞ্জারের স্ক্রিনশটসহ অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন ঐ ছাত্রী।

নাম প্রকাশে অপারগ ঐ ছাত্রী জানান, মান-ইজ্জতের ভয়ে তিনি বিষয়টি গোপন রেখেছিলেন। কিন্তু প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাকে একান্তে দেখা করার এবং রাতে থাকার ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেয়ায় তিনি মুখ খুলতে বাধ্য হয়েছেন। এ ঘটনায় গত ১৪ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দিতে গেলে তার মানসিক সমস্যা আছে দাবি করে কলেজ প্রশাসন অভিযোগ নিতে টালবাহানা করে। সহপাঠীরা আন্দোলনের হুমকি দিলে বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ তার লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করে। এ ঘটনা তদন্ত করে বিচার দাবি করেন ঐ ছাত্রী। তবে অধ্যক্ষ অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তার পক্ষাবলম্বন করায় এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে শিক্ষার্থীদের।

ইসলামী ব্যাংক নার্সিং ইনস্টিটিউটের অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তা নূর উদ্দিন বলেন, তিনি কাউকে অনৈতিক প্রস্তাব দেয়নি। তৃতীয় কোনো পক্ষ তাকে ফাঁসানোর জন্য ফেক আইডি করে মেসেঞ্জারে এই ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।

ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ আকলিমা বেগম বলেন, ঐ ছাত্রীর লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন। পুরো বিষয়টি নিরপেক্ষভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রশাসনিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর ঐ ছাত্রী মিথ্যা অভিযোগ করলে তাকেও শাস্তি পেতে হবে।

Facebook
Twitter
LinkedIn