২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:০০
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ১০:০০

আরও ১৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর যাচ্ছে আজ

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি দল স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যেতে রাজি হয়েছে। এক হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গার এই দলটি আজ মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে যাবে। এরই মধ্যে তারা চট্টগ্রামে এসে পৌঁছেছে।

এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির থেকে স্থানান্তরের প্রথম ধাপে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় ভাসানচরে গিয়েছে।

সোমবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেয় রোহিঙ্গারা। এর আগে তাদের বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে বাসে করে নিয়ে এসে উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠে অস্থায়ী পয়েন্ট কার্যক্রম শেষ করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্রে জানা যায়, তিন ধাপে বিভিন্ন ক্যাম্প থেকে আগত রোহিঙ্গাদের উখিয়া ডিগ্রি কলেজের মাঠ থেকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়। দুপুরে প্রথম ধাপে ১৩টি বাসে করে ৫৯৫ জন, দ্বিতীয় ধাপে ১১টি বাসে করে ৫৩৯ জন এবং বিকেলে তৃতীয় ধাপে ১৫টি বাসে করে ৬৭০ জন রোহিঙ্গা উখিয়া কলেজ মাঠ থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কেবল যারা স্বেচ্ছায় যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে তাদেরকেই স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা হয়েছে।

উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম থেকে চূড়ান্তভাবে জাহাজে না উঠা পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো কথা না বলার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে। প্রথমবার যেভাবে সময়মতো গণমাধ্যমকে সবকিছু জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরবর্তী ধাপেও একইভাবে জানানো হবে। তখন দেশবাসী ও সারা বিশ্ব বিষয়টি জেনে যাবে বলে আমার বিশ্বাস।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হত্যা ও নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় সাড়ে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আগে আশ্রয় নেওয়াসহ বর্তমানে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে ঘিঞ্জি পরিবেশে বসবাস করে আসছে।

Facebook
Twitter
LinkedIn