ভিনদেশী শ্রমিকদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার শুক্রবার মধ্যরাতের পর বন্ধ হয়ে গেছে। শেষ দিনে দেশটিতে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাজার হাজার বাংলাদেশী কর্মী ভিড় জমান। তবে টিকিট না পাওয়ায় যেতে পারেননি অনেকে। শেষ ফ্লাইটের সময় পার হলেও অনেকই মধ্যরাত পর্যন্ত অপেক্ষা করে হতাশা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান।
শুক্রবার রাতে কর্মী বোঝাই শেষ ফ্লাইটটিও মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্যে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে চলে গেছে। আর কোন ফ্লাইট ছাড়ার আশা নেই। তারপরও মধ্যরাতেও বিমানবন্দরে বসে আছে এসব মানুষ। চোখে হতাশার জল নিয়ে টিকিট পাওয়ার আশায় অপেক্ষা করেন তারা। কিন্তু, এক সময় কোনো উপায় না দেখে, রাগ এবং ভাঙ্গা মন নিয়ে ছলছল চোখে বাড়ির পথে ফিরে যার দূরদুরান্ত থেকে আশা এসব মানুষ।
এর আগে মালয়েশিয়া কর্মী ভিসা পাওয়া ব্যক্তিদের শুক্রবারের মধ্যে প্রবেশের সময়সীমা বেঁধে দেয় দেশটির সরকার। শেষ সময়ে এসে কয়েক হাজার শ্রমিক নিয়োগ দেয় নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে শুক্রবার সকাল থেকে ভিড় করেন কয়েক হাজার যাত্রী। তাদের অভিযোগ, মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য সরকার-নির্ধারিত ফি’র চাইতে কয়েকগুণ বেশি ফি দিতে হয়েছে এজেন্সিগুলোকে। পাশাপাশি উড়োজাহাজের টিকিটের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দামও রাখা হয়েছে কয়েকগুণ বেশি। কিন্তু শেষ সময়ে এসেও অনেকে টিকিট পায়নি।
শুক্রবার ৯টি নিয়মিত ফ্লাইটের পাশাপাশি কুয়ালালামপুরগামী বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য বিশেষ আরও একটি ফ্লাইট পরিচালনা করে বিমান। সবমিলিয়ে ১ থেকে দেড় হাজার কর্মী মালয়েশিয়ায় যেতে পেরেছেন। অন্যরা ভাঙ্গা মন নিয়ে ফিরে যান অনিশ্চিত জীবনের পথে।