ভারতের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বড় ধস হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপির। বড় জয় পেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস।
নির্বাচন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, গতবারের তুলনায় সাড়ে ৩ শতাংশ বেশি ভোট পেয়েছে তৃণমূল।
এর আগের নির্বাচনে ২০১৯ সালে এই রাজ্যে ভারতের কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি পেয়েছিল ১৮ আসন। এবার তা নেমে এসেছে ১২টিতে। অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস তাদের আসন ১৮টি থেকে বাড়িয়ে নিয়েছে ২৯টিতে। কংগ্রেস গতবার দুটি আসন পেলেও এবার পেয়েছে একটি।
এবারের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক তারকা প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি গোটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রাজ্য চষে বেড়িয়েছেন। শেষ পর্যন্ত ৭ লাখেরও বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি।
এছাড়া মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থেকে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান, বর্ধমান দুর্গাপুরে আরেক ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ, হাওড়া থেকে সাবেক ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় আবারও জয়লাভ করেছেন।
এছাড়াও তৃণমূলের পুরোনো রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে বিজয়ী হয়েছেন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মালা রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও আবু তাহের খান।
এদিকে, এবারও এক ঝাঁক অভিনেতা-অভিনেত্রীকে লোকসভায় পাঠাচ্ছে তৃণমূল। এদের মধ্যে রয়েছেন অভিনেতা মেদিনীপুরের ঘাটালে দেব (দীপক অধিকারী), বীরভূমে শতাব্দী রায়, যাদবপুরে সায়নী ঘোষ এবং জুন মালিয়া ও রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন এক সময় হিন্দি চলচ্চিত্রের মহাতারকা শত্রুঘœ সিনহা। আসানসোল আসন থেকে জিতেছেন তিনি।
অপরদিকে মেদিনীপুরের তমলুক আসন থেকে অল্প ব্যবধানে জিতেছেন বিজেপির তারকা প্রার্থী ও কলকাতা হাইকোর্টের সাবেক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সামান্য ভোটে জিতেছেন বালুরঘাট থেকে। তবে হেরেছেন রাজ্যের সাবেক সভাপতি, দলের তারকা প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। কোচবিহারে পরাজিত হয়েছেন নিশিত প্রামাণিক এবং বাঁকুড়ায় সুভাষ সরকার।