সংগঠন সংবাদ
কোরবানীর গোশত দিলে অসহায় গরীব দুঃখীরা হোটেল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে ফেলে। পয়সার লোভে। কিন্তু অনেকেই আছেন একটি বছর অপেক্ষা করে থাকেন, ঈদের দু’টুকরো গোশত পেলে পরিবার নিয়ে রান্না করে খাবেন। সারা বছর ধনীরা আটশো-একহাজার যত দামই হোক গোশত কিনে খেতে পারছে। এমন অসহায়দের কথা বিবেচনা করে- সহমর্মিতার ঈদ নিয়ে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের ব্যতিক্রমি আয়োজন করে ঈদের পরের দিন। অসহায় গরীবরা পরিবার সহ ঈদের গোশত দিয়ে যেন এক বেলা শান্তিতে একটু খেতে পারে। বাসাবোর সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের পরিচালনায়-টোকাই সমিতি, আশার বাঁধন, উই ফর আস বাংলাদেশ, বাসাবো রক্তদান, বাসাবো ইউথ ক্লাব, বাসাবো ইউথ সোসাইটি, ঝলক, জিএলটিএস, আলোকিত করি প্রমুখ সেবা সংগঠনে যৌথ সহযোগিতায় ব্যতিক্রমি এই আহার পরিবেশনা সফলভাবে শেষ হয়। সম্প্রীতি ও সৌহাদ্যের প্রধান এহসান খান আহাদ জানান; “এলাকার এতিম, অসহায় ও দুস্থদের জন্য সবাই মিলে গোশত সংগ্রহ করেছি। এলাকার অনেকেই স্বদিচ্ছায় আমাদের ক্যাম্পেইন-প্যান্ডেলে গোশত দিয়ে গেছে। আমরা সবাইকে রেজালা পোলাও দিয়ে একবেলা পেট ভরে আহার করাতে পেরে নিজেদের ধন্য মনে করছি।” ভালো লেগেছে একটি বিষয়: এমন একটি মানবিক ও মহৎ কাজে তরুণ প্রজন্ম কোন সুদখোর,ঘুষখোর ও খারাপ মানুষের থেকে গোশত সংগ্রহ করেনি। এই মহতি উদ্যোগ প্রতিবছর পালন করা হলেই তবে স্বার্থক হবে- ক্যাম্পেইন স্লোগান: “আমরা সবাই, সবাই আমাদের”
নিজস্ব প্রতিবেদক।