যুক্তরাজ্যে করোনা রোগীর চাপে ভেঙে পড়ছে চিকিৎসা পরিষেবা
টিকা দেয়া শুরু করার পরও যুক্তরাজ্যে করোনা সংক্রমণের নতুন রেকর্ড। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ হাজার ৪৩৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাসপাতাল পরিষেবা ভেঙে পড়ার মুখে।
নতুন ধরনের করোনাভাইরাস এতটাই দ্রুত ছড়াচ্ছে যে, পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছেন না যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা। খবর বিবিসি ও ডয়েচে ভেলের।
দেশটিতে সোমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪৩ হাজার মানুষ, মঙ্গলবার তা আরও বেড়ে হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৩৫ জন।
ইংল্যান্ডের জনস্বাস্থ্যবিষয়ক সিনিয়ার মেডিকেল অ্যাডভাইজার সুসান হপকিন্স বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যজুড়ে করোনাভাইরাসের অস্বাভাবিক প্রকোপ দেখা দিয়েছে। আমরা অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। আমাদের হাসপাতালগুলো আর চাপ নেয়ার মতো অবস্থায় নেই।
সরকারের পরামর্শদাতা ও বিশিষ্ট চিকিৎসক অ্যান্ড্রু হেওয়ার্ড জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।
প্রতিদিন যে হারে করোনায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তা কীভাবে সামাল দেয়া যাবে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না যুক্তরাজ্যের সরকারি কর্মকর্তারা।
এ অবস্থা চলতে থাকলে হাসপাতালে নতুন করে আর রোগী ভর্তি করা যাবে না। তখন করোনা আক্রান্তদের কী করে চিকিৎসা হবে, তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় আছেন তারা। করোনা মহামারীতে এই উন্নত দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার মুখে।
করোনার নতুন প্রকোপ অন্য দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলছে। ব্রাজিলের রাজধানী রিও ডি জেনিরোর সমুদ্রতীরে বর্ষশেষ ও নতুন বছরের প্রথম দিনে কোনো উৎসব হবে না। কোপাকাবানা বিচে বাজি পোড়ানো দেখতে প্রতি বছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন। এবার বিচ বন্ধ রাখা হচ্ছে।
জার্মানিতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৩ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। ডেনমার্কে লকডাউন ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ফ্রান্সে লকডাউন নেই, রাতে কার্ফিউ আছে।