ফ্যাসিষ্ট সরকারকে বিতাড়িত করা হল গত ৫ আগষ্ট ,অথচ এখনো বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের উচ্চ আসনে বসে আছে তাদেরই নিয়োগকৃত ও পদায়িত সচিবরা। এদের সহায়তায় বিভিন্ন ভুল সিদ্ধান্তগুলো ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকার একতরফা ভাবে ছাত্র জনতার উপর চাপিয়ে দেয়।
তারা হলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার সরকারের দোসর অর্থ সচিব (খায়রুজ্জামান মজুমদার, সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার ও সালমান এফ রহমানের ঘনিষ্ট), শিল্প (জাকিয়া সুলতানা), বানিজ্য (সাবেক সচিব সেলিম উদ্দিন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সচিব সালাউদ্দিনের খুবই ঘনিষ্ঠ), পানি সম্পদ সচিব (নাজমূল আহসান, সাবেক ডিসি, সাবেক বিভাগীয় কমিশনার, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান),পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় সচিব (শাহানারা বেগম, জন প্রশাসন ও সুরক্ষা সেবায় দীর্ঘদিন শেখ হাসিনার আর্শীবাদ নিয়েই কর্মরত), ইআরডি সচিব (শাহারিয়ার কাদের, সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেকের পিএস ছিলেন), মহিলা ও শিশু মন্ত্রনালয়ের সচিব (নাজমা মোবারক, আওয়ামী লীগ সরকারের খুবই আর্শীবাদপুষ্ট) সহ অনেক গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে এখনও অধিষ্ঠিত।
&btvi=3&fsb=1&dtd=491
আওয়ামী সরকারের এই পেতাত্বারা এখনো বহাল তবিয়তে বসে থেকে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের বিভিন্ন গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে বিগত সরকারের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নের অপচেষ্টায় দিব্রি কাজ করে যাচ্ছে। সেদিকে অন্তবর্তী সরকারের কোন ধরনের পদক্ষেপ এবং দৃষ্টি নেই বললেই চলে। এমুহু্ত্বে তাদের ওএসডি না করলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র ও জনতার আন্দোলন ভেস্তে যাবে এবং শুদ্ধি অভিযান প্রশ্নবিদ্ধ হবে বলে আপামর জনসাধারণের ধারণা।
তৃণমূলের জনসাধারনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, কেন অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের নীতি নির্ধারনী মহল এখনো এদের বিরুদ্ধে কেন কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছে না? তা নিয়ে জনমনে অন্তর্বতীকালীন সরকারের বিভিন্ন ধরনের সমালোচনার জড় এবং এধরনের কর্মকর্তাদের ওএসডি করতে সরকারের বিলম্ভ পদক্ষেপেরও কঠোর সমালোচনা করেন।
ডেল্টা টাইমস/সিআর/এমই