২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২১
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২০শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২১

শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে, পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই: হাসনাত

প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের ইস্যুটি দেশে এখন বেশ আলোচনায়। শেখ হাসিনার পদত্যাগের দালিলিক প্রমাণ নিজের কাছে নেই— রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের এমন মন্তব্যকে ঘিরে এই ইস্যুতে আলোচনা চাউর হয়েছে ঢের।

রাষ্ট্রপতির এই মন্তব্যের জেরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে হাসনাত লেখেন, শেখ হাসিনাকে উৎখাত করা হয়েছে। পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই। এরপর ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় তিনি ফ্যাসিবাদ নির্মূলে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। সেদিনই দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। পরে দেশবাসীর উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন। পরে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন, রাষ্ট্রপতির কাছে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি তা গ্রহণ করেছেন।

এরপর শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় দাবি করেন, তার মা শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেননি। তাই সংবিধান অনুযায়ী তিনি প্রধানমন্ত্রীই রয়েছেন। এরপর দলীয় এক নেতার সঙ্গে মোবাইলে শেখ হাসিনার কথোপকথন প্রকাশ্যে আসে। সেখানেও আওয়ামী লীগ সভাপতি দাবি করেন তিনি পদত্যাগ করেননি। কাজেই তিনিই বৈধ প্রধানমন্ত্রী বলে দাবি করেন।

জয়-শেখ হাসিনার দাবির পর প্রশ্ন ওঠে আসলেই তিনি পদত্যাগ করেছিলেন নাকি তার আগেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। এই আলোচনায় এবার ঘি ঢেলেছে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের একটি মন্তব্য। মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই। এমনকি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের কথা থাকলেও পরে তিনি যাননি। এরপর বিভিন্ন মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জানতে পারেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন।

Facebook
Twitter
LinkedIn