২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:২৫
২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / বিকাল ৩:২৫

ট্রেনে হামলা নিয়ে কি বললেন তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা।

রাজধানীর তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা মহাখালী এলাকায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করেছে। এর ফলে ঢাকার সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

সোমবার সকাল ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে তিতুমীর কলেজ থেকে দেড় থেকে দুই হাজার শিক্ষার্থী মিছিল শুরু করে। মিছিলটি আমতলী মোড় হয়ে ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মহাখালী রেলক্রসিংয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়।

মহাখালী এলাকায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কারণে লাইনে আটকে ছিলো দুটি আন্তঃনগর ট্রেন—জামালপুরের তারাকান্দিগামী অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী বনলতা এক্সপ্রেস।

এর আগে নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী উপকূল এক্সপ্রেস মহাখালী রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা সেটি থামানোর চেষ্টা করেন। ট্রেনটি না থামায় বিক্ষোভকারীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন, যার ফলে কয়েকটি জানালার কাচ ভেঙে যায়। পরে ট্রেনটি সেখান থেকে চলে যায়।

এই হামলা নিয়ে অভিযোগ নিউজ বিডি ২৪ কে এক সাধারণ শিক্ষার্থী জানিয়েছেন:

তথ্য থাকা সত্ত্বেও কার্যকর ব্যবস্থা কেন নেওয়া হয়নি?

তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠার দাবিতে আজ মহাখালীতে যে ঐতিহাসিক আন্দোলন হয়েছে (বারসাত ব্যারিকেড টু মহাখালী), তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচারণা চলছিল। প্রায় ৫ থেকে ১০ দিন ধরে এই আন্দোলনের কথা শিক্ষার্থীরা জানিয়ে আসছিলেন। দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য গণমাধ্যমও আগেই এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিল। সুতরাং, এটি হঠাৎ করে বা অপ্রত্যাশিত কোনো ঘটনা ছিল না।

শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, আন্দোলনের বিষয়ে বনানী থানা ও ডিজিএফআইয়ের সাথেও আলোচনা হয়েছিল। তবে, রেল মন্ত্রণালয় কেন আগেভাগে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

আজ যখন তিতুমীর কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে রেলক্রসিংয়ে অবস্থান নেয়, তখন লাল নিশানা দেখিয়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু একটি ট্রেন শত শত শিক্ষার্থীর ওপর দিয়ে চালানোর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে কিছু শিক্ষার্থী পাথর নিক্ষেপ করে, যার ফলে ট্রেনের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, এই ঘটনার পেছনে বহিরাগত কেউ জড়িত থাকতে পারে, যারা আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। তিতুমীর কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা এ ঘটনায় আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

তিতুমীরের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, এই আন্দোলন ছিল শান্তিপূর্ণ। কোনো ধরনের সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলার পক্ষে তারা নেই। আমরা চাই, প্রকৃত অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা হোক।”

Facebook
Twitter
LinkedIn