স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই ও তাদের ভর্তি কার্য ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে। সোমবার সকালে শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল আজই বাতিলের দাবি জানায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ফল আবারও প্রকাশের দাবি তাদের। একই দাবিতে রাজধানীর মিলন চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদের সঙ্গে বুয়েটের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন।
উল্লেখ্য, রোববার ১৯ জানুয়ারি দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এবার পাসের হার ৪৫.৬২ শতাংশ। অংশগ্রহণকারী এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় পাস করা ১৯৩ জনের যাচাই-বাছাই ২৯ জানুয়ারির মধ্যে, সে পর্যন্ত তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত থাকবে।
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে এক লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫ শিক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ পরীক্ষার্থী। তাদের মধ্যে ৬০ হাজার ৯৫ পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন। পরীক্ষায় পাস নম্বর ছিল ৪০। এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় পাসের হার দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ। তাদের মধ্যে ছাত্রী ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। আর ছাত্র ২২ হাজার ১৫৯ জন, যা মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় একজন সর্বোচ্চ ৯০ দশমিক ৭৫ নম্বর পেয়েছেন।
রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত সমাবেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে আজকের মধ্যে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ না করলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি প্রকাশ করে।
বহুল প্রতিক্ষিত সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে যে আশায় বুক বেধেছিল মেধাবীরা, নতুন করে যাচাই বাছাই -স্থগিতাদেশ ও দাবী দাওয়ার ফ্যারে পড়ে গেল এবারের ভর্তি পরীক্ষা। এই রেশ নিঃসন্দেহে ছাত্রছাত্রীদের গভীর চিন্তাা কারণ হয়ে দেখা দিবে। তবে এই মেধার লড়াইতে যে কোটা নিয়ে জুলাই আন্দোলনের মতো ইতিহাস রচিত হলো, সেই কোটার বিলোপ ঘটিয়ে মেধার ভিত্তিতে পুনরায় ফলাফল যাচাই বাছাইয়ের আবেদন জানিয়েছে অংশ নেয়া প্রতিবাদী শিক্ষার্থীরা। ১৯৩ কোটায় উত্তীর্ণ ফলাফল স্থগিত করা হলো বটে! এদের ভাগ্য এখন কতদুর গড়ায়। এই নিয়ে চলবে এখন জল্পনা। কল্পণা।
মারুফ আহমেদ, বিশেষ প্রতিনিধি