ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিক রাজনীতি ও ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে বিএনপি। আসছে মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি।
এরই মধ্যে চারটি ইফতার মাহফিলের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। এর পাশাপাশি কেন্দ্রসহ তৃণমূলেও ইফতার পার্টি বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।
এছাড়া এলাকাভিত্তিক সামাজিক অনুষ্ঠানসহ ‘উঠান বৈঠকের’ মতো নানা কর্মসূচি থাকবে। এর মাধ্যমে দ্রুত জাতীয় নির্বাচনের পক্ষে জনমত তৈরির পাশাপাশি ভোটের হাওয়া দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়াই টার্গেট। তবে কোনো অপশক্তি যাতে ষড়যন্ত্র কিংবা অপতৎপরতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকেও সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশনা রয়েছে।
সারা দেশেই তৃণমূল পর্যায়েও ইফতার মাহফিল ঘিরে ভোটের রাজনীতি চাঙ্গা থাকবে বলে দলটির নেতাকর্মীরা জানান।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে তার বড় ছেলে তারেক রহমানের সঙ্গে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
রমজানে বিএনপির সূচি অনুযায়ী প্রথম রোজায় এতিম ও আলেমদের সম্মানে, ৬ মার্চ কূটনীতিক এবং ৯ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে পৃথকভাবে ইফতার মাহফিল হবে। পাশাপাশি আরও একটি ইফতার হবে কেন্দ্রীয়ভাবে (দিন চূড়ান্ত হয়নি)।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, প্রতি বছরই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল হয়। এবারও বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে চারটি ইফতার মাহফিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেনেছি।
বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ রাখা বিএনপির অন্যতম টার্গেট। সেইসঙ্গে বরাবরের মতো এবারও গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহারসামগ্রী পাঠানো হবে।
এ ক্ষেত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের কিছু শহীদ পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা আছে বিএনপির। এ বিষয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।
জানা যায়, জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হলে তাদেরও স্বাগত এবং আমন্ত্রণ জানাবে দলটি।
অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে তার বড় ছেলের সঙ্গে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।