যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে আলোচনায় বসছেন। তিনি বলেন, জেলেনস্কির প্রতি তার ‘অনেক সম্মান’ আছে। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, ইউক্রেনের খনিজ সম্পদে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার বিষয়ক চুক্তির বিষয়ে আজ দুই দেশের প্রেসিডেন্টের একসাথে হোয়াইট হাউজে বসার কথা।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে বিবিসির তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিলো যে সম্প্রতি জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলার কারণে তিনি ক্ষমা চাইবেন কি না। তার উত্তরে তিনি বলেন যে তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে তিনি এই কথা বলেছেন। সেইসাথে, তিনি এসময় জেলেনস্কিকে ‘খুব সাহসী’ বলেও অভিহিত করেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমারের সাথে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প এসব বলছিলেন। তিনি আশা করছেন যে জেলেনস্কির সাথে তার আসন্ন বৈঠক ‘খুব ভালো’। শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা ‘খুব দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।’
রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের তিন বছরেরও বেশি সময় পর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সর্বপ্রথম মস্কোর বৈঠক হয়েছে। এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন তার পশ্চিমা মিত্রদের বিস্মিত করেছে।
আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প জেলেনস্কিকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য দায়ী করে বলেছিলেন, ‘আপনি তিন বছর ধরে সেখানে আছেন। আপনার এটি শেষ করা উচিৎ ছিল… এটি শুরুই করা উচিৎ ছিল না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।’
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ‘অনেক বিষয়ে উদার’। কিন্তু তিনি চান, কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে তা নির্ধারিত হওয়ার আগে রাশিয়া ও ইউক্রেন একটি চুক্তির বিষয়ে সম্মত হোক।