নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি ঘটেছে। প্রশাসনকে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক দলগুলোর যতোটা সহযোগিতা করা দরকার। ছিটেফোটা দেখা যাচ্ছে না। বরং গাফিলতি লক্ষ করা যাচ্ছে। সারাদেশের বিভিন্ন ছিনতাই-চাঁদাবাজীতে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মীরা জড়িত বলে চাহর হচ্ছে গণমাধ্যমে। নিজেদের দলের বখাটে কিছু কর্মীদের প্রতি কঠোর ভূমিকা নিতে ব্যর্থ হওয়াকে কারণ হিসেবে দেখছে নাগরিকরা। এসব দায় কেউ স্বীকার করছে না। বরং রাজধানীতে নিজেদের ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভা নিয়েই ব্যস্ত সময় পাড় করছেন সবাই।
দেশের সমসাময়িক অপরাধ সংঘটনে জনগণের আওয়াজ কানে যাচ্ছে না কারও। বিশেষ করে প্রধান একটি রাজনৈতিক দল এখন সোচ্চার শুধুই নির্বাচন নিয়ে। অন্যদিকে দলের অতি উৎসাহী দলের কর্মীরাই রাজনৈতিক লেবাসে জড়িয়ে পড়ছে নানান অপরাধ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে। সমগ্র বাংলাদেশ জুড়ে একের পর এক ছিনতাই, ডাকাতি, লুটপাট, নৃশংস হত্যাকান্ড থেকে শুরু করে নারী ও শিশুদের প্রতি ধর্ষণের মত অর্বাচীন ঘটনায় পুরো পৃথিবী তোলপাড়! বিশেষ করে ছিনতাই-চাঁদাবাজীর সাথে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) নেতা-কর্মীদের সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ উঠছে।
দলটির ‘মুখপত্র’ বলছেন কোন ছাড় নয়। অপকর্মে জড়িত হলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। বহিস্কার, সাময়িক বহিস্কারের খবরও প্রকাশ হচ্ছে প্রতিদিন। দখল- ছিনতাই-লুটপাট আর চাঁদাবাজীর বন্ধ করতে বিএনপি এখন পুরোপুরি সজাগ। মানুষের বাসা বাড়িতে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিএনপির নামে চাঁদাবাজী করে বিএনপির ইমেজ নষ্ট করছে কেউ কেউ।
১৫ মার্চ (শনিবার) মাদারটেক কর্মশালা-২০২৫ এর একটি অনুষ্ঠানে এই কথা তুলে ধরেন জননেতা মির্জা আব্বাস। মির্জা আব্বাস আরও বলেন-এদের ধরে পুলিশ যৌথবাহিনীর হাতে দিন। দরকার হলে রশি দিয়ে বেঁধে আমাকে বলবেন। আমি এসে ওদের থানায় দিবো। ”

আফরোজা আব্বাসও এসব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ বাক্স খুলতে পরামর্শ দিয়েছেন। সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ যে দলের হোক এরা দেশের শত্রু। দশের শত্রু।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, থানা ও ওয়ার্ডের ভিতরে ছাত্রদল-যুবদলের নতুন কমিটিগুলোতে অনেক সদস্যের নাম না থাকায় অনেক পুরাতন সদস্য ও নেতারা অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আবার অনেক সাধারণ সদস্য বিদ্রোহী মনোভাব পোষণ করছে। দলের বহিস্কৃত অনেক অশিক্ষিত নেতাকর্মীদের বিভিন্ন এলাকায় নেশাখোর চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের সাথে মিলেমিশে দখল-ছিনতাই-চাঁদাবাজীর সাথে সম্পৃক্ত থাকার সন্দেহ অমূলক নয়।
সাধারণ নেতাকর্মীরা অপেক্ষায় আছেন- দলের পক্ষ থেকে প্রতিটি এলাকায় সংঘটিত যে কোন অনাচারের বিরুদ্ধে যে কোন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ-বিচার-নালিশ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) নিরপেক্ষ তদন্ত করবে।
গতকাল (১৭ মার্চ, সোমবার) জাতীয়তাবাদী যুবদলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- যুবদল পরিচয়ে দখল বাণিজ্য চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী করে কেউ আটক হলে, কোন ছাড় নয়। অবৈধ দখল বাণিজ্যকেন্দ্রিক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিএনপি সবসময় সোচ্চার। জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী যে কোন ধরনের কাজে দলের কারও সংশিষ্টতা প্রমাণ পাওয়া মাত্র তার বিরুদ্ধে দলীয় ও আইনি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। যারা নিজেদের অপরাধ আড়াল করতেও অনেকে উদ্দেশ্যমূলক দলের পরিচয় ব্যবহার করে পুরো দলের ইমেজ ক্ষুন্ন করছে, দলীয় পরিচয়বহনকারী এ ধরনের অপরাধীর প্রকৃত পরিচয় নিশ্চিত হয়ে সংবাদ প্রকাশে দলটি গণমাধ্যমের কাছেও অনুরোধ জানিয়েছেন। এমনকি যুবদলের নামে এমন কোন অপরাধীকে আটক করলে যে কেউ যুবদলের হেল্প লাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে প্রেসনোটে উল্লেখ করা হয়েছে।

সচেতন জনসাধারণ ও ভুক্তভোগীদের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় দপ্তরে হেল্প লাইন চালু থাকবে-
অভিযোগ হেল্প লাইন :
নুরুল ইসলাম সোহেল : দপ্তর সম্পাদক : ০১৮১-৯২৯৫১০৬
মিনহাজুল ইসলাম ভুইয়া : সহ-দপ্তর সম্পাদক : ০১৭১-২০৬১১৯৮