সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, রায়গঞ্জ, উল্লাপাড়া ও কাজিপুর পৌরসভায় সকাল আটটা থেকে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের পরিবেশ বাইরে সুষ্ঠ থাকলেও ভিতরের পরিবেশ পুরোপুরি উল্টো। সিরাজগঞ্জ সদর পৌরসভার অধিকাংশ কেন্দ্রে বিএনপির কোন এজেন্ট নেই। নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা ভোটারদের মেয়র পদের ব্যালটে পেপারে প্রকাশ্যে সিল মারতে বাধ্য করছে।
রায়গঞ্জ পৌরসভায় একই চিত্র। সকাল ১১ টায় রায়গঞ্জের পূর্বলক্ষ্মীকোলা কেন্দ্রের ৫ নম্বর বুথে গিয়ে দেখা যায় শুধু কাউন্সিলর প্রার্থীদের ব্যালট রয়েছে। মেয়র প্রার্থীর কোন ব্যালট নেই। রায়গঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও ধানগড়া উপজেলা সদর মহিলা ডিগ্রী কলেজে গিয়ে দেখা যায় ভোটারদের আগে নৌকা প্রতীকে সিল মেরে পরে বুথে গিয়ে কাউন্সিলদের ব্যালটে সিল মারতে ভোটারদের বাধ্য করা হচ্ছে। সকাল নয়টায় সিরাজগঞ্জ পৌরসভার রেলওয়ে কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দেখা যায় একই চিত্র। ভোটারদের কাছ থেকে জোরপূর্বক নৌকা প্রতীকে প্রকাশ্যে সিল মেরে নেয়া হচ্ছে। ভোটাররা প্রতিবাদ করলেও সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসাররা নিশ্চুপ থাকছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নারী ভোটার ভোট দিয়ে বের হয়ে হাউকাউ শুরু করেন। তিনি বলেন, আমার ভোট আমাকে দিতে দেয়নি। একটা ব্যালট নিয়ে প্রকাশ্যে নৌকায় সিল মেরেছে।
আরেক ভোটার জানান, আমাকে প্রকাশ্যে সিল মারার কথা বললে আমি রাজি হয়নি। পরে রাগ করে ব্যালট রেখেই চলে এসেছি। শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজ, জ্ঞানদায়িনী উচ্চ বিদ্যালয়ের চিত্র একই আগে নৌকার সিল মেরে নেয়া হচ্ছে পরে কাউন্সিলদের ব্যালট হাতে ধরিয়ে দিয়ে বুথে গিয়ে সিল মারতে বাধ্য করা হচ্ছে।
এদিকে, সকালে কালেক্টরেট স্কুলে ভোটপ্রদান শেষে সদর পৌরসভার মেয়র প্রার্থী সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা বলেন, সুষ্ঠ পরিবেশে ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে ভোট দিচ্ছে। বিএনপি পরাজয় জেনে অপপ্রচার চালাচ্ছে। অন্যদিকে বিনাপানি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে সদর পৌরসভার বিএনপি প্রার্থী সাইদুর রহমান বাচ্চু জানান, প্রায় অধিকাংশ কেন্দ্রে এজেন্ট বের করে দেয়া হচ্ছে। নৌকা প্রকাশ্যে সিল মারা হচ্ছে।
জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নির্বাচন অফিসার জানান, কোথাও অনিয়ম হচ্ছে না। সুষ্ঠভাবে ভোট হচ্ছে। রায়গঞ্জের লক্ষ্মীকোলা ভোটকেন্দ্রের ব্যালট পেপার নেই এমন প্রশ্নে বলেন, সবকেন্দ্রেই ব্যালট পেপার রয়েছে