একাদশ জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশন বসতে যাচ্ছে আজ। এই অধিবেশনে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতির ভাষণটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন পেয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে গত ৩০ ডিসেম্বর এই অধিবেশন আহ্বান করেন। রাষ্ট্রপতির ভাষণে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ সাফল্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হবে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতির ভাষণের পর বৈঠক মুলতবি করা হবে। এরপর রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব আনা হবে, সেই প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা। করোনার কারণে এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অধিবেশন পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। বয়স্ক ও অসুস্থ সংসদ সদস্যদের এবারও অধিবেশনে যোগদানের ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
অধিবেশনে যেসব সংসদ সদস্য যোগ দেবেন তারা প্রত্যেকে নতুন করে করোনার পরীক্ষা করিয়েছেন। যাদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ তারাই প্রথম বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন। পরবর্তী কার্যদিবসগুলোতে আগের মতো পালা করে অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা। সংসদ অধিবেশন কাভারকারী সাংবাদিকদেরও করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যাদের করোনা নেই তারাই শুধু প্রথম বৈঠকের সংবাদ সরাসরি সংসদ ভবনে গিয়ে সংগ্রহ করতে পারবেন। বাকি কার্যদিবসগুলোর সংবাদ সংসদ বাংলাদেশ টেলিভিশন দেখে সংগ্রহের অনুরোধ জানিয়েছে সংসদ সচিবালয়।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ ছাড়াও এই অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল উত্থাপন ও পাস হওয়ার কথা রয়েছে। সাধারণত বছরের প্রথম অধিবেশন দীর্ঘ হয়। তবে করোনার কারণে এই অধিবেশনও সংক্ষিপ্ত হবে। ১২ থেকে ১৪ কার্যদিবস অধিবেশন চলতে পারে বলে জানা গেছে। অবশ্য স্পিকার চাইলে অধিবেশনের মেয়াদ বাড়াতে বা কমাতে পারবেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে গত ৮ থেকে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসে। এটি ছিল চলতি সংসদের দশম অধিবেশন। ১০ কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে ৯ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত ৫ কার্যদিবস বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। ওই অধিবেশনে মোট ৯টি সরকারি বিল পাস হয়