ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করল বাংলাদেশ। এই নিয়ে ৫ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ। সর্বপ্রথম ২০০৯ সালে তাদের মাটিতে ক্যারিবিয়ানদের হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ।
২০১২-১৩ সালে ঘরের মাঠেও গেইল-স্যামুয়েলসদের বিপক্ষে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল লাল-সবুজের দলটি। ২০১৮ সালে টানা দুবার ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছিল টাইগাররা। এবার ২০২১ সালেও এক ম্যাচ হাতে রেখে ওয়ানডে সিরিজ জিতে নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ের হ্যাটট্রিক করল তামিমরা।
মিরপুর শের এ বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪৯ রানের মামুলি লক্ষ্যে তামিম ইকবালের হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৩.২ ওভারেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় স্বাগতিকরা। সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে অধিনায়কের ব্যাট থেকে। সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই করেন তামিম এবং লিটন দাস। ওয়ানডে দলপতি শুরুতে ধীরগতিতে খেললেও লিটন ব্যস্ত ছিলেন দ্রুত রান তোলায়। তবে ষষ্ঠ ওভারের ঠিক আগে ২২ রানে আউট হন লিটন। গেল ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের একটু হলেও দুশ্চিন্তায় ফেলেছিলেন আকিল হোসেন।
সেই আকিল এই ম্যাচেও এনে দিয়েছেন সফরকারীদের প্রথম ব্রেক থ্রু। ৪টি বাউন্ডারি হাঁকানো লিটনকে লেগ বিফরের ফাঁদে ফেলে বিদায় করেন তিনি। সঙ্গী হারালেও নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন তামিম। তবে দলীয় ৭৭ রানে ১৭ রান করা নাজমুল উইকেট ছুঁড়ে দেন।
চার নম্বরে নামা সাকিবকে নিয়ে দলকে ১০০’র ওপর নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি হাফ সেঞ্চুরি পূরণ করেন তামিম। তবে মাইলফলকে পৌঁছেই উইকেট ছুঁড়ে দেন ওয়ানডে দলপতি। ৫০ রানে তিনি ফিরলেও সাকিব এবং মুশফিকুর রহিম মিলে দলকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।
সাকিব অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ৯ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন রেইমন্ড রেইফার, আকিল হোসেন এবং জেসন মোহাম্মদ। সিরিজ জিতলেও সফরকারীদের হোয়াইটওয়াশের লক্ষ্যে ২৫ জানুয়ারি চট্টগ্রামে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করা ক্যারিবীয়ান ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়া দেখে মনে হচ্ছিল ১০০ রানও ছুঁতে পারবে না দলটি। কিন্তু রভমান পাওয়েল এবং টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানদের ছোট ছোট সংগ্রহে দেড়শর কাছাকাছি পুঁজি পায় সফরকারীরা।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে প্রথমে ব্যাট করে ৪৩.৪ ওভারে জেসন মোহাম্মদের দল অল আউট হয়েছে ১৪৮ রানে। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার পাওয়েল (৪১)। ৯.৪ ওভারে ২৫ রানে ৪ উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। মুস্তাফিজ এবং সাকিব নেন ২টি উইকেট