২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৩৩
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:৩৩

জিয়ার কাজই ছিল দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা: প্রধানমন্ত্রী

দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা করাই বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কাজ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ঘরের চাবি বুঝিয়ে দেওয়ার অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

সেনা শাসনের সময় দেশের মানুষের দুর্দশার কথা তুলে ধরে জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কি পেয়েছিল তখন? অনেকে গালভরা কথা বলে- গণতান্ত্রিক অধিকার পেয়েছে। গণতান্ত্রিক অধিকারটা কী?

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, একটা মিলিটারি ডিক্টেটর ক্ষমতা দখল করে একদিন ঘোষণা দিল যে ‘আজ আমি রাষ্ট্রপতি হলাম’। তারপরই সেটা গণতন্ত্র হয়ে গেল। হ্যাঁ, অনেকগুলো রাজনৈতিক দল করার সুযোগ করে দিল, কিন্তু দুর্নীতি করা, মানি লন্ডারিং করা, ব্যাংকে ঋণ খেলাপ করা। টাকা ব্যাংক ছাপিয়ে নিয়ে এসে সেগুলো ছড়িয়ে দিয়ে ‘মানি ইজ নো প্রবলেম’ সে কথা শোনানো, এবং ‘আই ইউল মেইক পলিটিক্স ডিফিকাল্ট ফর পলিটিশিয়ান’ একথাও জিয়াউর রহমান বলে গেছে। জিয়াউর রহমানের কাজই ছিল এদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে খেলা।

বিএনপির গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, এদেশের মানুষকে দরিদ্র থেকে দরিদ্র রাখা আর মুষ্টিমেয় লোকদের টাকা-পয়সা দিয়ে তাদেরকে তার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা, মেধাবী ছেলেদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়ে তাদের বিপথে ঠেলে দেওয়া। নির্বাচনের নামে প্রহসন সৃষ্টি করা।

তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রের জন্য এত কথা বলেন, তাদের কাছে একটাই প্রশ্ন, এটা কী করে গণতন্ত্র? একটা দল হল, হাঁটতে-চলতেও শিখল না। ক্ষমতায় বসে, ক্ষমতার উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে যে দলের সৃষ্টি, সে ক্ষমতায় আসে আর মানুষ পায় না এটা হয় কখনও?

Facebook
Twitter
LinkedIn