২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৪
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:৩৪

ভয় লাগছে না তো?’

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের এক জন নার্সসহ ২৫ জনকে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে দেশে আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেলা সাড়ে ৩টায় ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

এসময় তিনি ভিডিও কনফারেন্সেই প্রথম পাঁচ জনের ওপর টিকার প্রয়োগ প্রত্যক্ষ করেন। প্রথমে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু বেরোনিকা কস্তা কোভিড-১৯ টিকা গ্রহণ করেন। নার্স রুনুর টিকা নেয়ার প্রাক্কালে প্রধানমন্ত্রী তাকে অভয় দিয়ে বলেন, ‘ভয় লাগছে না তো’।

এদিকে, করোনা টিকা গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতায় প্রথমে টিকা গ্রহণ করেন, রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকা নেন ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. নাসিমা সুলতানা, ট্রাফিক পুলিশ মো. দিদারুল ইসলাম ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। যখন অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা আসলো, আমরা বললাম যত দ্রুত এই টিকা নেওয়া যায়। আমি ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম ভ্যাকসিন কেনার জন্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘কিছু মানুষ ভালো না লাগা রোগে ভোগে। তার বলে দেশে ভ্যাকসিন আসবে কি না, এই টিকা কার্যকর হবে কি না। দেশে সমালোচনার লোক দরকার আছে। তারা যত সমালোচনা করেছে আমরা তত অনুপ্রাণিত হয়েছি।’

যারা ভ্যাকসিন নিতে এসেছেন তাদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আশা করি এর মাধ্যমে করোনা ভাইরাস থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পাবে। দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই। কারণ তারা এগিয়ে না আসলে এত কিছু করা সম্ভব হতো না। যারা করোনায় মারা গেছেন তাদের মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

Facebook
Twitter
LinkedIn