অভিষেক টেস্টে নোমান আলীর স্পিন ঘূর্ণির পর দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে পাকিস্তান। এর ফলে ২ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিকরা। ২০১৩ সালের পর এবারই দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে হারাল পাকিস্তান।
আগের দিন ৪ উইকেটে ১৮৭ রান করা প্রোটিয়ারা চতুর্থ দিন খুব বেশি সুবিধা করতে পারেনি। তারা এদিন যোগ করতে পেরেছে কেবল ৫৮ রান। নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছে ২৪৫ রানে। এর ফলে পাকিস্তানের সামনে মাত্র ৮৮ রানের সহজ লক্ষ্য দাঁড়ায়।
মামুলি লক্ষ্যে খেলতে নেমে ভালো শুরু পায়নি পাকিস্তান। তারা দলীয় ২২ রানে ওপেনার আবিদ আলীর উইকেট হারায়। এরপর আর ১ রান রানের ব্যবধানে তারা হারায় আরেক ওপেনার ইমরান বাটকে। দুজনই শিকার হয়েছেন প্রোটিয়া পেসার এনরিক নরকিয়ার।
তৃতীয় উইকেটে ৬৩ রানের জুটি গড়ে পাকিস্তানকে জয়ের অনেক কাছে নিয়ে যান অধিনায়ক বাবর আজম এবং আজহার আলী। শেষদিকে ৩০ রান করা করা বাবরকে এলবিডব্লিউ করে ফিরিয়েছেন কেশভ মহারাজ। অবশ্য আজহার ৩১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন। ৪ মেরে পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করেছেন আগের ইনিংসে সেঞ্চুরি পাওয়া ফাওয়াদ আলম।
এর আগে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২২০ রানে অল আউট হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাবে খেলতে নেমে ৩৭৮ রানের বড় পুঁজি পায় স্বাগতিকরা। এর ফলে প্রথম ইনিংসেই তাদের লিড দাঁড়ায় ১৫৮ রানের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ৬৯.২ ওভারে ২২০ অল আউট (এলগার ৫৮, লিন্ডে ৩৫) (ইয়াসির ৩/৫৪)
পাকিস্তান (প্রথম ইনিংস): ১১৯.২ ওভারে ৩৭৮ অল আউট (আজহার ৫১, ফাওয়াদ ১০৯) (রাবাদা ৩/৭০)
দক্ষিণ আফ্রিকা (দ্বিতীয় ইনিংস): ১০০.৩ ওভারে ২৪৫/১০ (ডাসেন ৬৪, মার্করাম ৭৪, বাভুমা ৪০) (ইয়াসির ৪/৭৯, নোমান ৫/৩৫)
পাকিস্তান (দ্বিতীয় ইনিংস) : ওভারে ৯০/৩ (আজহার ৩১*, বাবর ৩০; নরকিয়া ২/২৪)