২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:২৬
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / সকাল ৮:২৬

নামাজে প্রথম কাতারে দাঁড়াবেন অফিসাররা, অন্য কেউ দাঁড়াতে পারবেন না।

টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের নামাজে প্রথম কাতারে দাঁড়াবেন অফিসাররা, অন্য কেউ দাঁড়াতে পারবেন না। সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি জরুরি নোটিশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে মসজিদে প্রবেশের দরজাসহ মসজিদের বিভিন্ন জায়গায় সাঁটিয়ে দিয়েছে মসজিদ কমিটি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়। এছাড়া স্থানীয় মুসল্লিদের মাঝে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। 

মসজিদ কর্তৃপক্ষের নোটিশে বলা হয়েছে, ‘সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, বাসাইল উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক নামাজের জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত এবং জুমার নামাজ চিহ্নিত জায়গার বাহিরে পড়া যাবে না এবং জামাত দাঁড়ানোর পূর্ব পর্যন্ত অফিসারগণের সম্মানে সামনের কাতারে না দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। জামাতে দাঁড়ানোর সময় সামনের চিহ্নিত খালি জায়গা পূরণ করে দাঁড়াবেন। মসজিদের বাহিরে/রাস্তায় মসজিদের কার্পেট বিছানো হবে না, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে।’

এই মসজিদের পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামছুন নাহার স্বপ্না ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার আল-আমিন।

সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে মুসুল্লিরা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে নামাজ আদায় করছিলেন। যাতে সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন এ জন্য নোটিশ দিয়ে বিষয়টি জানানোর জন্য বলা হয়েছিল। কিন্তু মসজিদের ঈমাম আগবাড়িয়ে অফিসারদের বিষয়টি লিখেছেন। সামনের কাতারে অফিসাররা বসবেন এটা আমি তাকে লিখতে বলিনি।’

তবে মসজিদের ঈমাম হাফেজ রেজাউল করিম বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার মসজিদ পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশক্রমে এ সংক্রান্ত নোটিশ সাঁটিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া গতকাল শুক্রবার জুমআ’র নামাজের আগে নোটিশটি পড়ে মুসুল্লিদের জানিয়ে দেওয়া হয়। সিদ্ধান্তটা পুরোপুরি মসজিদ কমিটির। তাদের নির্দেশনা মোতাবেক আমি শুধু সেটি বাস্তবায়ন করেছি।’ 

মসজিদে গত কয়েকদিন ধরে মুসুল্লিদের সামনের কাতার বাদ রেখে বসার জন্য বলে আসছিলেন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, এই মসজিদের সামনের কাতার থেকে মুসল্লিদের উঠিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে এর আগে।

মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামছুন নাহার স্বপ্না বলেন, ‘নোটিশের বিষয়টি আমার জানা ছিল না। পরে জানতে পেয়ে নোটিশটি তুলে নেওয়া হয়েছে। আমার অনুমতি না নিয়ে কীভাবে নোটিশ দেওয়া হলো এ ব্যাপারে আগামীকাল রোববার জরুরি মিটিং আহ্বান করা হয়েছে।’

Facebook
Twitter
LinkedIn