নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে হেফাজত ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে দ্বিতীয় স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী সোনারগাঁও থানায় ওই অভিযোগ দায়ের করেন।
এতে তিনি উল্লেখ করেন, ‘মামুনুল হক ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে সম্পূর্ণ নিয়মকানুন মেনে স্ত্রীসহ অবস্থান করেন। হোটেল মালিক সাইদুর রহমান নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হন। এলাকার কতিপয় সন্ত্রাসী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সোহাগ হোসেন রনির নেতৃত্বে কতিপয় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি মামুনুল হকের ওপর হামলা চালায়। তার জামার কলার ছিড়ে ফেলে, দাঁড়ি ধরে টান দেয়, শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, অশ্লীল, অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে, গাড়ির চাবি, ম্যানিব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।
খবর পেয়ে সেখানে যান সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, এসিল্যান্ড গোলাম মোস্তফা মুন্না, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) টিএম মোশাররফ হোসেন, সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তবিদুর রহমানসহ স্থানীয় সাংবাদিকরা।
সন্ধ্যা ৭টায় মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে খবর পেয়ে স্থানীয় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রয়েল রিসোর্টের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা রিসোর্টের প্রধান ফটক ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করতে শুরু করে। পরে কয়েকজন হেফাজতের নেতারা গিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মামুনুল হককে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় রিসোর্টের বাইরে থাকা কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। আর একদল বিক্ষুদ্ধ নেতাকর্মী উপজেলার মোরগাপাড় মোড়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বাশ, কাঠে আগুন দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে।
এ সময় কয়েকটি গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। রাত পৌনে ৯টায় পুলিশ গিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দিয়ে ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে সরিয়ে দেয়। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।’