করোনাভাইরাস: সীমিত পরিসরে প্রোটোকল মেনে হজ
করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ প্রতিরোধে এবার সীমিত পরিসরে পবিত্র হজ পালনে বেশ কয়েকটি নিরাপত্তা প্রোটোকল দিয়েছে সৌদি সরকার। এবার হজে কোনও বিদেশি হাজী অংশগ্রহণ না করতে পারলেও স্থানীয়রা হজ করতে পারবেন। একই সাথে হজ করতে পারবেন সৌদি আরবে বসবাস করা নির্দিষ্ট প্রবাসীরাও।
সৌদির কেন্দ্রীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র (ওয়েকায়া) করোনা সংক্রমণের হার হ্রাস এবং হাজীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রোটোকল ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছে আরব নিউজ।
সৌদি স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ তৌফিক আল-রাবিয়া গত মাসের শুরুতে ঘোষণা করেছিলেন যে এই বছর সীমিত আকারে হজ পালনে হাজীদের সংখ্যা সীমাবদ্ধ থাকবে।
সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রী মোহাম্মদ সালেহ বেন্টেন বলেন, মানুষকে মহামারি করোনা সহ সবকিছু থেকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যেই হাজীর সংখ্যাকে সীমাবদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রোটোকলের দীর্ঘ তালিকাটি এই বছর সমস্ত শ্রমিক এবং হজ পালনকারীদের উপর প্রভাব ফেলবে। ১৯ জুলাই থেকে কর্তৃপক্ষ অনুমতি ছাড়া মিনা, মুজদালিফা এবং আরাফাতে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে।
গাইড এবং সচেতনতার জন্য বিভিন্ন ভাষায় লিখিত করোনার সচেতনা বিষয়ে নির্দেশনা থাকবে। করোনা সংক্রমণের সতর্কতা, হাত ধোয়ার প্রোটোকল, হাঁচি এবং কাশি শালীনতা এবং অ্যালকোহল ভিত্তিক স্যানিটাইজার ব্যবহারের বিষয়ে থাকবে বিশেষ নির্দেশনা।
সংক্রমণ রোধে পবিত্র কাবা এবং কালো পাথর স্পর্শ করা যাবে না, মসজিদের কার্পেটগুলি সরিয়ে ফেলা হবে। মসজিদ কিংবা মসজিদের সামনে খাবারের অনুমতি দেওয়া হবে না।
সকল হজযাত্রীদের শারীরিক তাপমাত্রা অবশ্যই পরীক্ষা করা হবে। সকলকে সবসময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে।
আরাফাত ও মুজদালিফার প্রোটোকলে বলা হয়েছে, তীর্থযাত্রীদের অবশ্যই সবসময় সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে, মাস্ক পরতে হবে এবং আয়োজকদের অবশ্যই প্রতি তীর্থযাত্রীর মধ্যে দেড় মিটার দূরত্ব নিশ্চিত করে প্রতি তাঁবুতে ১০ জনের বেশি তীর্থযাত্রী না রাখতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের অবশ্যই নির্ধারিত লাইন মেনে চলতে হবে এবং আয়োজকরা অবশ্যই সজাগ থেকে সামাজিক দূরত্বের নিয়মগুলি মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।
আয়োজকগণকে প্রতি গ্রুপে জামারাত (পাথর স্তম্ভ) পর্যন্ত ৫০ জনের বেশি তীর্থযাত্রীকে একত্রিত না করে তীর্থযাত্রীদের জন্য জীবাণুমুক্ত নুড়ি সরবরাহ করতে বলা হয়েছে।