রাষ্ট্রীয় নথি চুরি এবং অনুমতি ছাড়া সেই নথির ছবি তোলার অভিযোগে সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে করা মামলার জামিন শুনানির আদেশের জন্য আগামী রোববার (২৩ মে) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর আদালতের (সিএমএম) হাকিম বাকী বিল্লাহ এ আদেশ দেন।
এর আগে দুপুর একটার দিকে ভার্চুয়ালি এ মামলার শুনানি হয়। প্রায় এক ঘণ্টা শুনানি শেষে পরে আদেশ দেয়ার কথা জানান বিচারক।
রোজিনার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজীসহ কয়েকজন আইনজীবী।
শুনানিতে জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর হেমায়েত উদ্দিন খান হিরণ বলেন, ‘আসামির কাছ থেকে আলামত উদ্ধার করা হয়েছে, তাকে জামিন দেয়া ঠিক হবে না।’
অন্যদিকে রোজিনার আইনজীবী এহসানুল হক সমাজি বলেন, ‘এজাহারে সেরকম কোনো আলামতের বর্ণনা নেই। যে আলামতের কথা বলা হচ্ছে, তা পরে ম্যানিপুলেট করা।’
তিনি বলেন, ব্রিটিশ আমলের যে ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস’ আইনে এ মামলা করা হয়েছে, বাংলাদেশে তার ব্যবহার অত্যন্ত কম, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেও এ আইন প্রয়োগের তেমন নজির নেই। ভারতে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে এ আইন ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
সচিবালয়ে সোমবার এক কর্মকর্তার কক্ষে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপ-সচিব শিব্বির আহমেদ ওসমানী।
পর দিন রোজিনাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। মামলায় রোজিনাকে পাঁচ দিনের জন্য রিমান্ডে পেতে আবেদন করেছিল পুলিশ। শুনানি শেষে এই আবেদন নাকচ করে দেন বিচারক মোহাম্মদ জসীম।
অপরদিকে তার জামিন আবেদন করেছিলেন আসামি পক্ষের আইনজীবী। এই আবেদন আংশিক শুনানি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন বিচারক। রোজিনাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় কারাগারে।
শুরু থেকেই রোজিনাকে মুক্তির আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। সাংবাদিক নেতারা এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর সাথে দেখা করেছেন। মন্ত্রীরা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, ন্যায্যবিচার পাবেন রোজিনা।