২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:১৫
২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১০:১৫

প্রবল আকার ধারণ করেছে ‘ইয়াস’

বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ প্রবল আকার ধারণ করে সমুদ্রে একই এলাকায় অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর।এমন অবস্থায় সমুদ্র বন্দরগুলোর জন্য দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে আবহাওয়াবিদ একেএম রুহুল কুদ্দুস বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, গত ছয় ঘণ্টায় ঘূর্ণিঝড়টি নয় কিলোমিটার গতিতে এগিয়েছে এবং এটি আরও শক্তি সঞ্চয় করবে।তবে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশে আঘাত হানার সম্ভাবনা ক্ষীণ বলে জানান তিনি। রুহুল কুদ্দুস বলেন, এখনও পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, এই ঘূর্ণিঝড়ের পুরো গতিপথ ভারতের উড়িষ্যা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে। উপকূলে আসার পর ভারতের দিকে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের খুলনা এবং সাতক্ষীরা উপকূলে কিছু বৃষ্টিপাত হবে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে ২৬ মে ভোর নাগাদ উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে পৌঁছাতে পারে।মঙ্গলবার সকাল ছয়টায় ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫২০ কিলোমিটার, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ৫১৫ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে।আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার। ঝড়ো হাওয়ার আকারে এর গতি ১১৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। গভীর নিম্নচাপ থেকে সোমবার ভোরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।

Facebook
Twitter
LinkedIn