দেশে নতুন করে আরো ১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্তের খবর পাওয়া গেছে। এই ১৩ জনের মধ্যে সাতজনই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার। তাদের মধ্যে পাঁচজন সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করে এসেছেন। বাকি আটজন ভারতে না গিয়েও করোনার ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত বৈশ্বিক তথ্যভাণ্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিআইএসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্তের খবর শুক্রবার প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন করে শনাক্ত হওয়া এই ব্যক্তিদের নমুনা নিয়েছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর)।
জিআইএসএআইডির তথ্য বলছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওই সাতজনের পাঁচজনই পুরুষ। পুরুষ পাঁচজনের মধ্যে সবচেয়ে কনিষ্ঠজনের বয়স ১৩ বছর। একজনের বয়স ৩০ বছর, আরেক জনের বয়স ২১ বছর। বাকি দু’জন হলো ৫২ বছর বয়সী এবং ২৭ বছর বয়সী। বাকি দুজন নারী। নারী দুজনের বয়স একজনের ২৭ বছর, আরেকজনের ৩১ বছর। এই সাতজনের কেউই অবশ্য সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেননি।
গত ৮ মে বাংলাদেশের দুই ব্যক্তির শরীরে করোনার ভারতীয় ধরনের (বি.১.৬১৭.২) অস্তিত্ব পাওয়া যায়। তারা দুজনই পুরুষ এবং উভয়ই সম্প্রতি ভারত থেকে দেশে ফেরেন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট ২০ জন ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনের উপস্থিতি পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সে তথ্য জিআইএসএআইডির তথ্যভাণ্ডারে প্রকাশিত হয়েছে। এই ২০ জনের মধ্যে কেবল ১১ জন সম্প্রতি ভারত ভ্রমণ করেছেন। বাকিরা দেশে থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের পাঁচটি ধরন শনাক্ত হয়েছে। ধরনগুলো হলো : যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নাইজেরিয়া।