২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২১
২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ৮:২১

এবার ‘স্মার্ট প্রিপেইড’ মিটার বসাতে যাচ্ছে ডেসকো

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পাানির (ডেসকো) প্রধান বলেছেন, ডেসকো সেবা প্রদানকারী এলাকা ও এর গ্রাহকদের জন্য ‘স্মার্ট প্রিপেইড মিটার’ বসাতে চলেছে প্রতিষ্ঠানটি। পূর্বের প্রিপেইড মিটারের বদলে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রমে আধুনিকায়ন আনতে চায় ডেসকো।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন কাউসার আমির আলী জানান, স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানোর জন্য প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী দুই বছরের মধ্যে ডেসকো সম্পূর্ণ প্রিপেইড সিস্টেমে যেতে সক্ষম হবে।

তিনি আরো জানান, ডেসকো ইতিমধ্যেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সফ্টওয়্যার স্থাপনের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষে বাছাইকৃত প্রতিষ্ঠানের সাথে এই কাজ সম্পাদনের জন্য চুক্তি সম্পন্ন করেই কাজ শুরু করা হবে।

কাউসার আমির বলেন, ‘আমরা আগামী বছর থেকেই গ্রাহকদের মাঝে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার দেয়া শুরু করবো। ২০২৩ সাল নাগাদ সম্পর্ণভাবে এই কার্যক্রম সম্পন্ন করা যাবে।’

ডেসকো ১৯৯৮ সাল থেকে বিদ্যৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঢাকা শহরের উত্তর-পশ্চিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এলাকাগুলো যেমন, মিরপুর, উত্তরা, গুলশান, বনানী, বারিধারা এবং বাড্ডা ও গাজীপুরের কিছু অংশে সেবা প্রদান করছে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ ৫৩ হাজার গ্রাহককে সেবা প্রদান করছে প্রতিষ্ঠানটি। ভবিষ্যতে পূর্বাচল মডেল টাউনেও বিদ্যৎ সরবরাহের কাজ করবে ডেসকো।

ডেসকোর বছরে গ্রাহকদের ১ হাজার ৭০ মেগাওয়াটা বিদ্যুতের চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকার কেন্দ্রস্থল, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বের এলাকাগুলোতে বছরে ১ হাজার ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের যোগান দিচ্ছে অপর বিদ্যুৎ সেবা প্রদানকারী সংস্থা ডিপিডিসি।

স্মার্ট প্রিপেইড মিটার
ডেসকো প্রধান জানান, পূর্বের প্রিপেইড মিটারের তুলনায় ‘স্মার্ট প্রিপেইড মিটার’ অনেকাংশেই আধুনিক ও বহুল সুবিধাযুক্ত। পূর্বের প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহক বিভিন্ন দোকানে বা ভেন্ডিং পয়েন্টে যেতে হতো। কিন্তু বর্তমান স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করার জন্য গ্রাহক নিজের স্মার্টফোন সহ অন্যান ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন। এমনকি বিদেশে থেকেও এই মিটারে রিচার্জ করা যাবে।

এছাড়াও বিভিন্ন নতুন ফাংশন যোগ করায়, গ্রাহক নিজের সুবিধামত বিদ্যৎ ব্যবহারের মোড বাছাই করতে পারবে। এতে বিদ্যুৎ ও খরচ সাশ্রয় সম্ভব হবে।

এমনকি দূরবর্তী অবস্থানে থেকেও গ্রাহকরা এই মিটার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

সূত্র : ইউএনবি

Facebook
Twitter
LinkedIn