পুঁজিবাজারে ওভার দ্যা কাউন্টার (ওটিসি) বাজার থেকে মূল বাজারে ফিরছে চারটি কোম্পানি। কোম্পানি চারটি হলো- বিডি মনোস্পুল পেপার ম্যানুফ্যাকচারিং, পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, মুন্নু ফেব্রিকস ও তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল মিলস।
নিয়ম অনুসারে, কোম্পানি চারটিকে পুনরায় তালিকাভুক্ত হতে হবে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালনা পর্ষদ এদের পুনঃ তালিকাভুক্তির আবেদন অনুমোদন করেছে। গত বৃহস্পতিবার এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুসারে, ডিএসইর এই সিদ্ধান্ত পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) অনুমোদন লাগবে। ইতোমধ্যে ডিএসই তা অনুমোদনের জন্য বিএসইসিতে পাঠিয়েছে।
উল্লেখ, স্বল্প মূলধনী কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার জন্য ওটিসি মার্কেট গঠন করা হলেও পরবর্তীতে সেটি দূর্বল মৌলের, লোকসানী ও বন্ধ কারখানার কোম্পানির ডাম্পিং স্টেশনে পরিণত করা হয়। উৎপাদন বন্ধ হয়ে পড়া, পর পর তিন বছর লভ্যাংশ দিতে না পারা কোম্পানিগুলোকে পর্যায়ক্রমে মূল বাজার থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানো হয়।
ক্রেতা নির্ভর ওটিসি মার্কেটে লেনদেন প্রক্রিয়ায় অনেক জটিল। এখানে শুধু বিক্রেতার শেয়ার বিক্রির প্রস্তাব বোর্ডে দেখানো হয়। কোনো ক্রেতার প্রস্তাব দেখানো হয় না। মূল বোর্ডের মত অর্ডার মডিফাই করা যায় না।
একে তো দূর্বল কোম্পানির চিহ্নিত বোর্ড, তারউপর লেনদেনের জটিল প্রক্রিয়া। এসব কারণে ওটিসি মার্কেটে শেয়ার কেনাবেচা তেমন হয় না বললেই চলে। এটি নিয়ে তাই ওটিসি কোম্পানিগুলোর শেয়ারহোল্ডারদের ক্ষোভের শেষ নেই। এ বাস্তবতায় বর্তমান কমিশন ওটিসি মার্কেটের কোম্পানিগুলোর মধ্যে যেগুলোর অবস্থা তুলনামূলক ভাল সেগুলোকে মূল বাজারে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়। এ লক্ষ্যে বেশ কিছু কোম্পানির উদ্যোক্তাদের সাথে বৈঠকও করে বিএসইসি।এরই ফলাফল হিসেবে আলোচিত চার কোম্পানি মূল বাজারে ফিরতে আগ্রহ দেখালে ডিএসইর পর্ষদ সেটি অনুমোদন করে।
ডিএসইর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ওটিসি বাজারে তালিকাভুক্ত এ চার কোম্পানির লেনদেন স্থগিত রয়েছে। সর্বশেষ ওটিসি বাজারে বিডি মনোস্পুল পেপারের শেয়ার ৫০ টাকায়, পেপার প্রসেসিংয়ের শেয়ার ১৬ টাকায়, মুন্নু ফেব্রিকসের শেয়ার ১০ টাকা ও তমিজউদ্দিনের শেয়ার ১২ টাকায় লেনদেন হয়।
বিএসইসি ও ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মূল বাজারে ফিরলেও কোম্পানি চারটির উদ্যোক্তা-পরিচালকদের সব শেয়ারের তিন বছরের লক-ইন বা বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা থাকবে। অর্থাৎ এ তিন বছর কোম্পানিগুলোর উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের হাতে থাকা কোনো শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। মূল বাজারে ফেরার পর কোম্পানিগুলোতে যাতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে, এ কারণে এ বিক্রয় নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।