২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৩০
২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ / ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ / ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি / রাত ১২:৩০

হাঁটু ও কোমরের ব্যথা দূর করার ৭ উপায়

কিছুটা বয়স হলে অনেকেই হাঁটু ও কোমরের ব্যথ্যায় ভোগেন। চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ নিলে সাময়িকভাবে কিছুটা ব্যথা কমলেও এর দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান পাওয়া অনেক কঠিন। কিছু দিন পরপরই ফিরে আসে এই কষ্টদায়ক ব্যথা।

কিন্তু প্রতিদিনের অল্প কিছু অভ্যাস অনুশীলনেই এ কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য শুধু আনতে হবে জীবনযাত্রায় সাধারণ কিছু পরিবর্তন।

অনেক দিনের কোনো খারাপ অভ্যাসের পরিণতিই হাঁটু ও কোমরের ব্যথ্যা। তাই সময় থাকতেই হতে হবে সাবধান।

ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে যা করবেন—

১. বর্তমানে এ সমস্যাটির সবচেয়ে বড় কারণ পর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রমের অভাব। অনেকেই কোনোরকম পরিশ্রম না করে সারাদিন শুয়ে-বসেই পার করেন। তারই ফল হিসেবে পেতে হয় এ কষ্টদায়ক ব্যথা। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট শারীরিক ব্যায়াম করুন। এতে পেশি ও হাড় শক্তিশালী হবে এবং নমনীয়তা বৃদ্ধি পাবে।

২. কখনও একভাবে দীর্ঘ সময় বসে থাকা যাবে না। অফিসে কাজের ফাঁকে ছোট ছোট ব্রেক নিতে পারেন। চেষ্টা করুন হাঁটাহাঁটি করতে এবং কোমর ও পায়ের স্ট্রেচিং করতে।

৩. কম্পিউটারে বসে কাজ করার ক্ষেত্রে সঠিক চেয়ার-টেবিল ব্যবহার করুন। বসার সময় নজরে রাখতে হবে যেন শিরদাঁড়া মোটামুটি সোজা থাকে।

৪. সঠিক মাপের নরম কুশন ও সোলযুক্ত ভালো মানের জুতা পরার চেষ্টা করতে হবে। কারণ জুতার সঙ্গেও অনেক সময় হাঁটু ও কোমরের ব্যথার সম্পর্ক থাকে।

৫. প্রচুর পরিমাণে ফলমূল ও শাকসবজি খান। ব্রকোলি, গাজর, বিনস্, অঙ্কুরিত ছোলা বেশি খেতে পারেন। সঙ্গে নিয়মিত দুধ-ডিম খেতে পারেন। ফলে শরীরে প্রোটিন ও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ হবে।

৬. অনেক সময় ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা থেকেও হাঁটু ও কোমরের ব্যথা হতে পারে। তাই ব্যথা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ইউরিক অ্যাসিড পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন। ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি হলে টমেটো, কাবুলি ছোলা, মসুর ডালের মতো খাবারগুলো এড়িয়ে চলতে হবে।

৭. চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। ব্যথার জন্য যে কোনো ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী গ্রহণ করবেন।

তথ্যসূত্র: জিনিউজ

Facebook
Twitter
LinkedIn