মোদি সরকার অধিকৃত কাশ্মীর ভূখণ্ডে ৮ লাখ পুলিশ নিযুক্ত করে অঞ্চলটিকে উন্মুক্ত জেলখানায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
মার্কিন টিভি চ্যানেল এইচবিও’র প্রামাণ্যচিত্রধর্মী সংবাদ কার্যক্রম অ্যাক্সিওসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, মোদি সরকারের শাসনামলে ভারতে মুসলমানসহ সব ধর্মের সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। অধিকৃত কাশ্মীরে সেনা নিয়োগ দিয়ে উপত্যকাটিকে উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে মোদি সরকার; কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব বিষয়টিকে বরাবরই উপক্ষো করে চলেছে।
স্থানীয় সময় রোববার অ্যাক্সিওসের ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকারটি প্রচারিত হয়েছে। সাক্ষাৎকারে আল কায়েদা, আইএস ছাড়াও চীন-ভারত প্রসঙ্গে কথা বলেন পাক প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের আগেই দেশটির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছাতে হবে।
জোনাথন সোয়ানের নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইমরান খান আরো বলেন, ভারত পাকিস্তানের মধ্যে তিনটি যুদ্ধ হয়েছে; কিন্তু পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিতে পরিণত হওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে আর কোনো যুদ্ধ সংঘটিত হয়নি।
তিনি বলেন, পাকিস্তানের পারমাণবিক কর্মসূচি শুধু নিজের দেশ রক্ষার স্বার্থে, কারো ক্ষতি করার জন্য নয়।
এ সময় আফগানিস্তানের ভেতরে যে কোনো পদক্ষেপ নিতে পাকিস্তানের ভূখণ্ড ব্যবহার কিংবা ঘাঁটি গাড়তে কোনোভাবেই অনুমোদন দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন ইমরান খান।
জোনাথন সোয়ানের নেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইমরান খানের কাছে প্রশ্ন ছিল—আল-কায়েদা, আইএস কিংবা তালেবানের বিরুদ্ধে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান পরিচালনায় আপনি কি এখানে মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-কে ঘাঁটি স্থাপনে আমেরিকান সরকারকে অনুমোদন দেবেন?
জবাবে পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, একেবারেই না। কোনো ঘাঁটি স্থাপনের অনুমোদন দেওয়ার সুযোগ নেই।