সরকার ঘোষিত সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধের পঞ্চম দিনে রাজধানীতে বেড়েছে মানুষের চলাচল। আজ সোমবার (৫ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, তালতলা, শ্যামলী, কল্যাণপুর, মোহাম্মদপুর ও ফার্মগেট ঘুরে দেখা যায়, গতকালের তুলনায় আজ সড়কে মানুষের চলাচল বেশি। পাশাপাশি বেড়েছে রিকশাসহ ব্যক্তিগত যানবাহনের সংখ্যা।
জরুরি প্রয়োজনে অনেকে বের হয়েছেন। পুলিশ বিভিন্ন চেকপোস্টে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এছাড়াও শিল্পকারখানা, ব্যাংক, গণমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের প্রতিষ্ঠানের যানবাহনে অথবা পরিচয়পত্র নিয়ে বের হতে দেখা গেছে।তবে প্রধান সড়কে পাশের রিকশার জটলা দেখা গেছে। রিকশায় করে নগরবাসী তাদের গন্তব্যে যাচ্ছেন। আজ থেকে ব্যাংক খোলা। তাই প্রয়োজনীয় লেনদেন করতে নগরবাসী বাইরে বের হয়েছেন। রাস্তায় গণপরিবহন না থাকায় রিকশা কিংবা পায়ে হেঁটে চলাচল করছেন অনেকেই।রাজধানীর কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে বিধিনিষেধের মধ্যে অকারণে বের হওয়া ঠেকাতে চেকপোস্ট বসিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভির ফরহাদ শামিম।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক অনলাইনকে বলেন, ‘বিগত দিনের তুলনায় আজ অনেকটাই মানুষের চাপ বেড়েছে। আমরা যাকেই চেক করতে যাচ্ছি কোন না কোন অজুহাত দেখাচ্ছে। বিশেষ করে চারদিন পর ব্যাংক খোলায় অনেকেই বিভিন্ন লেনদেনের জন্য ব্যাংকমুখী। এছাড়া হাসপাতালে যাবে বলে অনেকে কাগজ দেখাচ্ছে। আমরা বৈধ কাগজ থাকলেই কেবল যেতে দিচ্ছি। তবে যখন চেক করতে যাচ্ছি তখন একটা বিষয় লক্ষ্য করছি অনেকেই বিভিন্ন কোম্পানির নামে জরুরি কাগজ দেখাতে চাচ্ছে। গাড়িতে বিভিন্ন স্টিকার ও ব্যানার রেখে জরুরি সেবা বলে অজুহাত দেখাচ্ছে।’